সংক্ষিপ্ত

কঠিন জ্বালানীযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার সময় সমস্ত নির্ধারিত প্যারামিটারগুলি পেরিয়ে গিয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটির পুরো পথ পর্যবেক্ষণ করেছে বিশেষ রাডার। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় টেলিমিটারিং সরঞ্জাম রাখা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে ভারত ওড়িশার উপকূল থেকে 'অগ্নি প্রাইম' - একটি নতুন প্রজন্মের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র - সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা বলেছেন যে সমস্ত টার্গেট এই মিসাইল পূর্ণ করেছে। জানা গিয়েছে 'অগ্নি প্রাইম'-এর পরপর তৃতীয় এবং সফল পরীক্ষা 'সিস্টেমটির নির্ভুলতা এবং নির্ভরযোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছে। এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপে অবস্থিত একটি মোবাইল লঞ্চার থেকে সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়।

সূত্র জানিয়েছে যে কঠিন জ্বালানীযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষার সময় সমস্ত নির্ধারিত প্যারামিটারগুলি পেরিয়ে গিয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ক্ষেপণাস্ত্রটির পুরো পথ পর্যবেক্ষণ করেছে বিশেষ রাডার। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় টেলিমিটারিং সরঞ্জাম রাখা হয়েছে। ডিআরডিও-র তরফে জানানো হয়েছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র এক হাজার থেকে দুই হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। সূত্র জানায়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের শেষ পরীক্ষাটি ১৮ ডিসেম্বর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে করা হয়েছিল, এই পরীক্ষা সফল হয়েছিল।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরা জানান, রাডার, টেলিমেট্রি এবং ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল সিস্টেম সহ অনেক ট্র্যাকিং সিস্টেম থেকে পাওয়া ডেটা ব্যবহার করে এই মিসাইলের কর্মক্ষমতা যাচাই করা হয়েছিল। তারপরেই পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া হয়। আরও জানা গিয়েছে, এই সিস্টেমগুলি টার্মিনাল পয়েন্টে দুটি ডাউন-রেঞ্জ জাহাজ সহ ফ্লাইট পথের বিভিন্ন স্থানে মোতায়েন করা হয়েছিল এবং পুরো ট্র্যাজেক্টোরি জুড়ে ছিল। 

উল্লেখ্য, প্রথম পরীক্ষা হয়েছিল গত বছরের জুনে, দ্বিতীয় পরীক্ষা হয়েছিল ছয় মাস পর- ডিসেম্বরে। সব পরীক্ষা সফল হয়েছে। 'অগ্নি প্রাইম' বা 'অগ্নি-পি' হল পরমাণু-সক্ষম নতুন প্রজন্মের অগ্নি শ্রেণীর ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত রূপ। অর্থাৎ এই মিসাইল পারমাণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম।

১৪ই অক্টোবর পারমাণবিক ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন আইএনএস আরিয়ান্ত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। ভারতের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সাবমেরিন আইএনএস আরিয়ান্ত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে পূর্বনির্ধারিত রেঞ্জে পরীক্ষা করেছে। নিখুঁত ও নির্ভুলভাবে বঙ্গোপসাগরে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত অপারেশনাল এবং প্রযুক্তিগত প্যারামিটার পূরণ করেছে।

সাবমেরিন-চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের নৌবাহিনীর পারমাণবিক শক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণ করে। ভারতীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন এখন মোতায়েন করা হলে পানির নিচে থেকে চীন ও পাকিস্তানকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হতে পারে। সর্বশেষ সাবমেরিন-চালিত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা প্রমাণ করে যে ঘরে তৈরি আইএনএস আরিয়ান্ত শ্রেণির সাবমেরিনগুলি প্রতিটি উপায়ে কাজ করছে।

আরও পড়ুন-
‘টিভি দেখছ?’ ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, কীভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রিয় মানুষ?
ভারতে যখন দেবীপক্ষ, ইরানে উড়ছে নারীদের চুলের ধ্বজা, ‘বরদাস্ত করব না’, হুঁশিয়ারি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির
হোটেলের অতিথিদের ‘বিশেষ সার্ভিস’ দিতে বলা হয়েছিল অঙ্কিতাকে, জলে ডুবে গেলেও কেন তাঁর দেহে মিলল আঘাতের চিহ্ন?