সংক্ষিপ্ত
দিল্লির জামিয়া নগরে এদিন দুপুরে সিএএ বিরোধী মিছিলে গুলি চলে।
আহত হন এক ছাত্র।
এই ঘটনা অমিত শাহ-এর ষড়যন্ত্র।
এমনই গুরুতর অভিযোগ-এ উত্তাল রাজধানীর রাজনৈতিক মহল।
দিল্লির জামিয়া নগরে গুলিচালনার ঘটনা রাঝধানীর আইনশৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটিয়ে বিধানসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র। আর এই ষড়যন্ত্র করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এমনই গুরুতর অভিযোগ আনলেন আপ নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং। বৃহহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে প্রকাশ্যে মিছিলে গুলিচালনার ঘটনার আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই শুরু হয়ে গেল তীব্র রাজনৈতিক বাদানুবাদ।
আরও পড়ুন - 'ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করবে, পরে বাঁচাতে' আসবেন না মোদী-শাহ, সতর্ক করলেন বিজেপি নেতা
আরও পড়ুন - 'গোলি মারো শালো কো', প্রকাশ্য সভায় হাততালি দিয়ে লোক খেপালেন জুনিয়র অর্থমন্ত্রী
৮ ই ফেব্রুয়ারি দিল্লির বিধানসভা নির্বাচন। দিন যত এগিয়ে আসছে ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। এদিনের ভয়ানক ঘটনা নিয়ে সরাসরি বিজেপি-কে আক্রমণ করেছেন বিরোধী নেতারা। সঞ্জয় সিং সাফ জানিয়েছেন, দিল্লির নির্বাচনে হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই বিজেপি ষড়যন্ত্র করছে। দিল্লির পরিবেশ বিঘ্নিত করে নির্বাচন আপাতত স্থগিত করার ষড়যন্ত্র করছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাদের নেতার এই ধরণের ঘটনা ঘটানোর জন্যই গত কয়েকদিন ধরে উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন আপ নেতা।
বিজেপির মুখপাত্র, জিভিএল নরসিমা রাও এই ঘটনাকে হিন্দু-মুসলিম ইস্যু বলে বর্ণনা করেছেন। তাঁর মতে হামলাকারীর নামটি হিন্দু হওয়াতেই তাকে বিজেপি-র সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। যত সমস্যা। যদি তার নাম গোপাল-এর জায়গায় ইসমাইল হত তবে কেজরিওয়াল, রাহুল গান্ধী, ওয়াইসি-রা চুপ করে থাকতেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। শাহীনবাগের বদলে যদি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রামবাগ হত তবে তারা প্রতিদিন তার বিরুদ্ধে কথা বলতেন বলে দাবি করেন রাও।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদরা বলেন, বিজেপি সরকারের মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতারা মানুষকে গুলি করতে, উদ্বুদ্ধ করলে, উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিলে এইসব হওয়াই স্বাভাবিক। এর জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জবাব চেয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে তিনি কোন ধরনের দিল্লি তৈরি করতে চান? বলতে হবে, তাঁরা হিংসা না অহিংসা কোনটা চান? উন্নয়নের সঙ্গে আছেন না বিশৃঙ্খলার সঙ্গে?
সিপিআই নেতা ডি রাজা-ও জামিয়া গুলিচালনার ঘটনার জন্য বিজেপি নেতাদেরই দোষ দিয়েছেন। তাঁর মতে, জামিয়ার গুলি চালানোর ঘটনা দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতাদের দেওয়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের প্রত্যক্ষ ফল। বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর 'বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করা'র স্লোগান তুলেছিলেন। তারপরই এই ঘটনা। তাই তাঁর দাবি অনুরাগ ঠাকুর-কে গ্রেফতার করতে হবে।
তবে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ অবশ্য এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। হামলাকারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
आज दिल्ली में जो गोली चलाने की घटना हुयी है उसपर मैंने दिल्ली पुलिस कमिश्नर से बात की है और उन्हें कठोर से कठोर कार्यवाही करने के निर्देश दिए हैं।
केंद्र सरकार इस तरह की किसी भी घटना को बर्दाश्त नहीं करेगी, इसपर गंभीरता से कार्यवाही की जाएगी और दोषी को बख्शा नहीं जायेगा।
এদিন দুপুরে দক্ষিণ দিল্লিতে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া-র একদল শিক্ষার্থী জামিয়া নগর এলাকায় সিএএ বিরোধী মিছিল করছিল। সেখানে আচমকাই হাজির হয়ে তাদের লক্ষ্য করে পুলিশের সামনেই গুলি চালায় এক ব্যক্তি। আহত হন এক ছাত্র। যা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। পরে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয় শিক্ষার্থীরা। জানা যায় তার নাম গোপাল শর্মা।
আরও পড়ুন - 'দিল্লির রাস্তায় পাক দাঙ্গাবাজ', ভেদের রাজনীতি করতে গিয়ে বিপাকে দলবদলু বিজেপি নেতা