সংক্ষিপ্ত
উপত্যকার প্রথমসারিতে থাকা বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলির মধ্যে শুরুতেই নাম আসে আমিরা কাদলের। এই অঞ্চলে বরাবরই স্থানীয়দের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। এবার সেখানেই দিনের ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণে ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।
ফের উত্তপ্ত ভূস্বর্গ। সূত্রের খবর, শ্রীনগরের আমিরা কাদালে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ (grenade attack on security forces)করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক পুলিশ কর্মী সহ ২০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে এক আম-আদমির মৃত্যুর খবরও পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে আচমকা এই বিস্ফোরণের জেরে স্বভাবতই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে উপত্যকায়। এদিকে খবর পাওয়া মাত্রই ভারতীয় সেনার বিশেষ দল পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছে। সন্ত্রাসীদের খোঁজে ব্যাপক তল্লাশি চলছে। একইসঙ্গে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় শ্রী মহারাজা হরি সিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আহতদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থ আশঙ্কাজনক বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, এদিন আমিরাকাদলের চেকপয়েন্টে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি দল মোতায়েন ছিল। যখন চেকিং চলছিল তখনই তাদের ওপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সহ ওই এলাকায় কর্তব্যরত নিরাপত্তা বাহিনী এবং পুলিশ কর্মীদের লক্ষ্য করেই ছোঁড়া হয় গ্রেনেড।
এদিকে উপত্যকার প্রথমসারিতে থাকা বাণিজ্যিক অঞ্চলগুলির মধ্যে শুরুতেই নাম আসে আমিরা কাদলের। এই অঞ্চলে বরাবরই স্থানীয়দের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। এবার সেখানেই দিনের ব্যস্ত সময়ে বিস্ফোরণে ঘটনায় ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য। তবে যে জায়গায় সন্ত্রাসী গ্রেনেড ছুঁড়েছিল সেখানে তা পড়েনি। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খানিকটা কমেছে। সিআরপিএফ ডিআইজি কিশোর প্রসাদ জানিয়েছেন হামলাটি আমিরা কাদালে হরি সিং হাই স্ট্রিটে হয়েছে। তবে এই ঘটনায় কোনও জওয়ান আহত হয়নি। তবে হামলার জেরে কিছু সাধারণ মানুষ যে আহত হয়েছেন তা স্বীকার করেছেন তিনিও। এদিকে এই ঘটনার পরপরেই শ্রীনগরের মেয়র জুনায়েদ আজিম মাট্টু টুইটারে লেখেন, "হরি সিং হাই স্ট্রিটে গ্রেনেড হামলার তীব্র নিন্দা জানাই এবং এই বর্বর সন্ত্রাসী হামলায় আহতদের জন্য আমার প্রার্থনা।"
আরও পড়ুন- রাশিয়ান মহাকাশযান থেকে মুছে গেল আমেরিকা-জাপান-ব্রিটেনের পতাকা, রইল ভারতের তেরঙা পতাকা
এদিকে শনিবার শ্রীনগর শহরের আলমগিরি বাজারে রাস্তার পাশে একটি সন্দেহজনক বস্তু পাওয়া যাওয়ার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর আধিকারিক ও জওয়ানরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দেন। নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাস্থলে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে ডাকে। তারাই সন্দেহজনক বস্তুটিকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেন। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। যদিও দুই ঘটনার সঙ্গেই পাকিস্তান যোগ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।