সংক্ষিপ্ত
বাবা হয়ে নাবালিকা মেয়েকে বারবার ধর্ষণ। গর্ভাবতী মেয়ের বিচার চাইতে আদালতে গেলে বাবাকে তিনবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ কেরলের আদালতের।
সাজার জন্য একটি জন্ম পর্যাপ্ত নয়। কেরলের একটি আদালত নাবালিকাকে বারবার ধর্ষণ করে গর্ভাবতী করে দেওয়া জন্য নির্যাতিতাব বাবাকে পরপর তিনটি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। মঞ্জেরি ফ্যাস্ট ট্র্যাক বিশেষ আদালতের বিচারক রাজেশ কে - ধর্ষণ, উত্তেজনাপূর্ণ যৌন নিপীড়ন ও অনুপ্রবেশমূলক যৌন নিপীড়নের অভিযোগে এই সাজা শুনিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি ও যৌন অপরাধ থেকে শিশু সুরক্ষা আইনেই ওই ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। একই সঙ্গে ছয় লক্ষ ছয় হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এ সোমসুন্দরনের মতে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে তাতে স্বাভাবিক জীবনের বাকিটা সময় কারাগারে থাকতে হবে দোষী ব্যক্তিকে অর্থাৎ নির্যাতিতার বাবাকে।
ধর্ষণের ঘটনা
মামলার বিষদ বিবরণ দেওয়ার সময় আইনজীবী জানিয়েছেন, ধর্ষণের প্রথম ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে। সেই সময় নাবালিকা বাড়িতে একাই ছিল। অন্য কেউ ছিল না। ধর্ষণ সেই সময়ের সুযোগ নিয়েছিল। সেই সময় মেয়েটির বয়স ছিল মাত্র ১৫। বাড়িতে বসে অনলাইন ক্লাস করছিল। তখনই নাবালিকার নিজের বাবা মেয়েকে টেনে বেডরুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। নির্যাতিতার বাবা একটি মাদ্রাসা শিক্ষক। ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় মেয়ে ও মা। সেই সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষক মেয়ে ও মাকে খুন করার হুমকি দিয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে এরপহর থেকে প্রায়ই এই জাতীয় ঘটনা ঘটতে থাকে। কিন্তু মা ও মেয়ের প্রতিবাদ করার কোনও উপায় ছিল না।। অক্টোবার পর্যন্ত বাবার হাতে বারবার ধর্ষিতা হয়ে নাবালিকাকে। এরপর নভেম্বরে স্কুল খুলে যায়। একদিন স্কুলে তীব্র পেটের ব্যাথায় অসুস্থ হয়ে পড়ে নাবালিকা। সেই সময় শারীরিক পরীক্ষা করেও কিছু পাওয়া যায়নি।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়ে দেয় নাবালিক গর্ভাবতী। এরপরই নির্যাতিতার কিশোরী চরম নির্যাতনের কাহিনি সামনে আসে। প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সাহায্যে পুলিশের দ্বারস্থ হয়। দায়ের হত ধর্ষণের মামলা। গ্রেফতার করা হয় ধর্ষক বাবাকে।
আদালতের নির্দেশে গর্ভপাত করান হয়। ডিএনএ টেস্ট হয়। তারপরই জানা যায় নির্যাতিতা কিশোরীর গর্ভে যে সন্তান রয়েছে তার জন্য দায়ী বাবা। মঞ্জেরি ফ্যাস্টট্র্যাক আদালতে বিচার শুরু হয়। অভিযুক্তদের তিন বারের যাজজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদাল। একই সঙ্গে ৬ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।
আরও পড়ুনঃ
Budget 2023: কৃষকদের আয় বাড়বে- এমনই কৃষি বাজেট নিয়ে প্রত্যাশা বাড়ছে
ভোট বড় বালাই! অনুব্রত-হীন বীরভূমের কোর কমিটিতে মমতার 'ট্রাম্প কার্ড' কাজল-শতাব্দীরা