সংক্ষিপ্ত

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের (Uttar Pradesh Elections 2021) আগে, শনিবার শাহজাহানপুরে (Shahjahanpur) গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের (Ganga Expressway) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। জেনে নিন এই হাইওয়ের মূল বৈশিষ্টগুলি।

উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের (Uttar Pradesh Elections 2021) আগে, রাজ্যে একের পর এক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। কাশি-বিশ্বনাথ ধামের (Kashi-Vishwanath Dham) পুনর্গঠনের প্রথম পর্বের উদ্বোধনের পর, শনিবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) শাহজাহানপুরে (Shahjahanpur) গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের (Ganga Expressway) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই হাইওয়ে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে, রাজ্যের পূর্ব অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

সব মিলিয়ে ৫৯৪ কিলোমিটার দীর্ঘ হতে চলেছে এই গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। কাজ শেষ হলে, এটিই হবে উত্তরপ্রদেশের দীর্ঘতম এক্সপ্রেসওয়ে। এটি মিরাট জেলায় খারখাউদার কাছে জাতীয় মহাসড়ক-৩৩৪-এর পাশে অবস্থিত বিজৌলি গ্রামকে, প্রয়াগরাজ জেলার সোরাওনের কাছে জাতীয় মহাসড়ক-১৯'এর পাশে অবস্থিত জুদাপুর ডান্ডু গ্রামের সাথে সংযুক্ত করবে। সব মিলিয়ে উত্তরপ্রদেশের ১২ টি জেলাকে সংযুক্ত করবে গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে। পশ্চিমে মিরাট থেকে শুরু করে একে একে হাপুর, বুলন্দশহর, আমরোহা, সম্বল, বুদাউন, শাহজাহানপুর, হারদোই, উন্নাও, রায়বরেলি, প্রতাপগড় পেরিয়ে যাবে  থেকে পূর্বের জেলা প্রয়াগরাজে।

৬ লেনের এই এক্সপ্রেসওয়েটি তৈরি করতে আনুমানিক খরচ হবে ৩৬,২০০ কোটি টাকা। শাহজাহানপুরে, গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েরতেই, ৩.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি এয়ারস্ট্রিপও থাকছে। এই এয়ারস্ট্রিপ, ভারতীয় বায়ুসেনার (IAF) বিমানগুলির জরুরি উত্তরণ এবং অবতরণের কাজে ব্যবহার করা হবে। এই এক্সপ্রেসওয়ের পাশে একটি শিল্প করিডোর নির্মাণের প্রস্তাবও রয়েছে।

এই রাস্তাটি নির্মাণের কাজ শেষ হলে, দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজ (Delhi to Prayagraj) যাওয়ার সময় প্রায় অর্ধেক হয়ে যাবে। বর্তমানে, এই দূরত্বটা অতিক্রম করতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লাগে। গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে গেলে সময় লাগবে মাত্র ৬ থেকে ৭ ঘন্টা। এই এক্সপ্রেসওয়েতে মোট ১৪টি বড় মাপের সেতু থাকবে। এছাড়াও, ১২৬ টি ছোট সেতু, আটটি রোড ওভারব্রিজ এবং ১৮ টি ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে। 

২০২৫ সাল নাগাদ এই সড়ক প্রকল্পটি শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ২০০৭ সালেই মায়াবতী (Mayawati) সরকার এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির অনুমোদন দিয়েছিল। রাস্তা তৈরির এই বিরাট প্রকল্পটিতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করবে। গঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই প্রায় ১২,০০০ কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর সারা দেশে দ্রুত গতির যোগাযোগ তৈরির ভাবনার অনুপ্রেরণাতেই এই এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, এই এক্সপ্রেসওয়েটি শিল্প উন্নয়ন, বাণিজ্য, কৃষি, পর্যটন ইত্যাদি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে পূর্ণতা প্রদান করবে। সেই সঙ্গে, সামগ্রিকভাবে এই রাস্তাকে কেন্দ্র করে সংলগ্ন অঞ্চলগুলির আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে।