সংক্ষিপ্ত

মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনা শুরু হয় গত জানুয়ারি মাস থেকে। কিশোরীর প্রেমিক প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনার পুরো ভিডিও করে রেখেছিল। সেই ভিডিওর ভিত্তিতেই চলতে থাকে ব্ল্যাকমেইল পর্ব। 

নারী নির্যাতনের (Woman Crime) এক ভয়ঙ্কর ঘাটনা সামনে এল মহারাষ্ট্রে। যা শুনলে গায়ে কাঁটা দেবে আপনারও। টানা ৯ মাস ধরে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গণধর্ষণ (Gang Rape) করেছে ২৯ জন। যাদের মধ্যে ২ নাবালক রয়েছে বলে মহারাষ্ট্র পুলিশ (Maharastra Police) জানিয়েছে। জানুয়ারিতে কিশোরীকে তাঁর প্রেমিক প্রথম ধর্ষণ করে। সেই সময় একটি ভিডিও শ্যুট করে। সেই ভিডিওটিকে হাতিয়ার করেই নির্যাতিতা কিশোরীর প্রেমিকের বন্ধুরা। ভিডিওটির মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে লাগাতার কিশোরীকে ধর্ষণ করে যায় বলে অভিযোগ।

মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনা শুরু হয় গত জানুয়ারি মাস থেকে। কিশোরীর প্রেমিক প্রথম তাঁকে ধর্ষণ করে। সেই ঘটনার পুরো ভিডিও করে রেখেছিল। সেই ভিডিওর ভিত্তিতেই চলতে থাকে ব্ল্যাকমেইল পর্ব। পরবর্তী সময়ই নির্যাতিতার প্রেমিকের বন্ধু ও পরিচিতরা কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ জন কিশোরীকে ধর্ষণ করে। ডোম্বিভিলি জেলার বদলাপুর, মুরবাদ, রাবালসহ একাধিক জায়গায় কিশোরীকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মুম্বইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দত্তাত্রেয় কারলে জানিয়েছেন।

Video vs CCTV: দিল্লির হোটেলে শাড়ি নিয়ে তুলকালাম, অতিথির Viral Videoর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের CCTV

Ambani vs Adani: অপ্রচলিত শক্তি নিয়ে মুকেশ অম্বানিকে চ্যালেঞ্জ গৌতম আদানি, লক্ষ্য আম্বানিকে টেক্কা দেওয়া

Modi On US Visit: বিমানে ফাইলে চোখ বোলাতে ব্যস্ত ছবি পোস্ট মোদীর, পাল্টা মনমোহনকে হাতিয়ার করল কংগ্রেস

নির্যাতন সহ্য করতে না পরে কিশোরীর ও তাঁর আত্মীয়রা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। বুধবার রাতে ডোম্বিভালির মনপাদা থাকায় অভিযোগ দায়ের করে। তারপরই তদন্তে নামে পুলিশ। কিশোরীর অভিযোগে ২৯ জনের নাম রয়েছে যারা যৌন নিপীড়ণের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তারই ভিত্তিতে মহারাষ্ট্র পুলিশ একটি যৌথ অভিযান চালায়। পাকড়াও করা হয় দুই নাবালকসহ ২৩ জনকে। পুলিশ সূত্রের খবর বদলাপুরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একই সঙ্গে তল্লাশি চালিয়েই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। 

অভিক্তদের বিরুদ্ধে পকসো (POCSO) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে এসপি সোনালি দোলকে এই ঘটনার তদন্তকারী অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। মামলার তদরকি করছেন জিএসপি শচীন গুঞ্জাল। গোটা ঘটনার তদন্তের জন্য ফরেনসিক দলকেও ডাকা হয়েছে। নির্যাতিতার প্রেমিকের তোলা ভিডিও ইলেকট্রনিক প্রমাণ তথ্য হিসেবে দাখিল করা হয়েছে।