সংক্ষিপ্ত

  • ৭৪ দিন পর ৮ লক্ষের নিচে নামল চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা
  • দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ হাজার ৭৫৩

  • বাড়ল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা

  • গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ জনের

দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিতের সংখ্যা ৬০ হাজারের একটু বেশি। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ৭৫৩ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৪৬। এই নিয়ে একটানা বারো দিন দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ১ লক্ষের নিচেই থাকল।

আরও পড়ুন- করোনার ডেল্টা সংক্রমণের মধ্যেই নতুন বিপদ LAMBDA , কোভিডের নতুন রূপ নিয়ে সতর্ক করল WHO

তবে সংক্রমিতের সংখ্যা কমলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। শুক্রবার দেশে দৈনিক মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৮৭। আর শনিবার তা খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৬৪৭ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৮৫ হাজার  ১৩৭। 

৭৪ দিন পর অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাটা নেমে এল ৮ লক্ষের নিচে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৭ লক্ষ ৬০ হাজার ১৯। মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। সুস্থতার হার ৯৬.১৬ শতাংশ।

আরও পড়ুন- করোনাকালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে হিংসা, মানা হবে না বলে কেন্দ্রের চিঠি রাজ্যকে

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৯৭ হাজার ৭৪৩ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৮৬ লক্ষ ৭৮ হাজার ৩৯০ জন। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুক্রবার ১৯ লক্ষ ২ হাজার ৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৩৮ কোটি ৯২ লক্ষ ৭ হাজার ৬৩৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- অক্টোবরেই আসছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ, পরিস্থিতি মারাত্মক হওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। শীঘ্রই এই ঢেউ আছড়ে পড়বে দেশে। করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের চরিত্র পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ে মোট সংক্রমণের ১০ শতাংশ আসবে শিশুদের থেকে।