গালওয়ানের শহিদের দেখে দেশ অনুপ্রেরণা পায় তাঁদের কথা দেশ কোনও দিনও ভুলবে না রক্তাক্ত গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পূর্তিতে স্মৃতিচারণা শহিদদের শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখরের

২০২০ সালের ১৫ জুন রাতে গালওয়ান উপত্যকায় চিনা ও ভারতীয় সৈন্যদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ বেধেছিল। সেই সংঘর্ষে চিন সেনা অতর্কিতে পাথর, লোহার রড ইত্যাদি অপ্রচলিত অস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছিল ভারতীয় সেনাদের উপর। এই সংঘর্ষে ১৬তম বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল বি সন্তোষ বাবু সহ ১৯ জন সেনা শহিদ হন। ফের আরেক ১৫ই জুন ফিরে এসেছে। গালওয়ানের সেই রক্তাক্ত স্মৃতিচারণা করলেন রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। 

Scroll to load tweet…

গালওয়ান উপত্যকায় পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪-র কাছে অবৈধভাবে একটি চিনা চেকপয়েন্ট নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। তারপরেই হামলা চালায় চিন। ভারতীয় শহিদদের স্মৃতিতে মঙ্গলবার শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করেন সাংসদ। তিনি বলেন কীভাবে বীরত্বের সঙ্গে চিনা সেনাকে দূরে হঠিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনা জওয়ানরা। মঙ্গলবার ট্যুইটারে নিজের সেই বীর জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাংসদ। 

গালওয়ান সংঘর্ষের এক বছর পার, চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ভারত

ভারতীয়দের কাছে মাটি হল মা, রাষ্ট্রসংঘে ভূমি বাঁচাতে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

তিনি এদিন বলেন বীর জওয়ানদের বলিদান দেশের মানুষকে অণুপ্রানিত করবে। তাঁদের কথা দেশ কোনও দিনও ভুলবে না। ভারতীয় সেনার পাশে দেশের প্রতিটি মানুষ রয়েছেন। উল্লেখ্য, ওই রাতের সংঘর্ষে চিনেরও বেশ কয়েকজন সেনা নিহত হয়েছিল বলে খবর। তবে সরকারিভাবে চিন তাদের নিহত সৈন্যের সংখ্যাটা কখনও জানায়নি। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল চিনা পিএলএ-র অন্তত ৩৫ জন সদস্য নিহত হয়েছিল। 

পরে চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মে একটি ছবি ফাঁস হয়, যেটি গালওয়ানে হত চিনা সেনাদের সমাধিক্ষেত্র বলে দাবি করা হয়েছিল। সেখানে সার সার দিয়ে কবরের পাশে কালো পাথরে সেই সেনাদের নাম ও রেজিমেন্টের বিষয়ে লেখা ছিল। গালওয়ানের এই ঘটনা ভারত-চিন সম্পর্কের রসায়নই পাল্টে দিয়েছে।