সংক্ষিপ্ত
এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সমর্থন চাইতে এই রাজ্যে এসেছেন। সোমবার বিকেল চারটের নাগাদ তিনি সিকিম থেকে সরাসরি শিলিগুড়িতে আসেন। সেখানেই তাঁর সমর্থনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।
এনডিএ রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু সমর্থন চাইতে এই রাজ্যে এসেছেন। সোমবার বিকেল চারটের নাগাদ তিনি সিকিম থেকে সরাসরি শিলিগুড়িতে আসেন। সেখানেই তাঁর সমর্থনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। লেপচা, ভুটিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন। শিলিগুড়ি থেকে কলকাতা আসেন তিনি। তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। মঙ্গলবার অর্থাৎ ১২ জুলাই সাকলে তিনি প্রথমেই যাবেন স্বামী বিবেকানন্দের পৈত্রিক ভিটেতে। তারপরই তিনি বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। নিজের জন্য সমর্থন চাইবেন সাংসদ ও বিধায়কদের কাছ থেকে। বেলা ১২টা নাগাদ একটি হোটলে বিজেপির জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে সূত্রের খবর।
এদিনই দ্রৌপদী মুর্মু কলকাতায় আসার আগে ঝটিকা সফরে সিকিমে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি সাংসদ ও বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করেন। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়করা যাতে তাঁকে সমর্থন জানায় তারই আবেদন নিয়ে পাহাড়ী রাজ্য সিকিমে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সর্বানন্গ সোনোয়াল ও গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত। এদিন দ্রৌপদী মুর্মুকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং। দাগাপুরা এলাকার একটি হোটেলে গিয়ে তিনি এনডিএর ৩১ জন বিধায়তের সঙ্গে দেখা করেন। সিকিমে ক্রান্তিকারি মোর্চার ১৯ জন ও বিজেপির ১২ জন বিধায়ক রয়েছেন। যাঁরা দ্রৌপদী মুর্মুকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। সিকিমের লোকসভা সাংসদ ইন্দ্রা হ্যাং সুব্বা এবং রাজ্যসভার সাংসদ হিশে লাচুংপাও উপস্থিতে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন দ্রৌপদী মুর্মু। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিং-এর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তাও।
SDF-এর সভাপতি, একমাত্র বিরোধী বিধায়ক পবন কুমার চামলিং, বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই মুর্মুকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ক্ষমতাসীন এসকেএম বলেছে যে মুর্মু তার সময়সূচীর কারণে সিকিম ভ্রমণ করতে পারেনি। এসকেএম নেতা জ্যাকব খালিং বলেন, "শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে সিকিম যেতে তার কয়েক ঘণ্টা লেগে যেত। প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিমানে এসেছিলেন তিনি।" বিজেপির সিকিম সভাপতি দল বাহাদুর চৌহান বলেছেন, মুর্মু বিধায়কদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তিনি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে রাজ্যের মানুষের সাথে দেখা করতে আসবেন। মুখ্যমন্ত্রীর প্রেস সেক্রেটারি বিকাশ বাসনেট বলেছেন, "এই প্রথম কোনও রাষ্ট্রপতি প্রার্থী সিকিম বিধায়কদের সাথে তাদের সমর্থন চাইতে দেখা করেছিলেন।"
বিরোধী দলগুলির প্রার্থী যশবন্ত সিনহা সোমবার বলেছেন যে ১৮ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হল কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে লড়াই যা কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা অপব্যবহার করা হচ্ছে তা নিয়ে তিনি সরব হবেন। সিনহা বলেন, তিনি রাষ্ট্রপতি হলে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর অপব্যবহার বন্ধ হবে। তিনি আরও অভিযোগ করেছেন যে কেন্দ্রে বিজেপি এবং তার নেতৃত্বাধীন সরকার "ইচ্ছাকৃতভাবে" দেশে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছে। সিনহা কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতি, ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি এবং রুপির বিনিময় হারের পতন নিয়ে আক্রমণ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, ভারতে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। সিনহা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নির্বাচন হচ্ছে। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "দেশের অবস্থা কী তা সকলেই জানেন। বিজেপি এবং ভারত সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে ঘৃণার পরিবেশ তৈরি করছে এবং ঠেলে দিচ্ছে।" তিনি বর্তমান রাষ্ট্রপতির তীব্র সমালোচনা করে বলেন , গত পাঁচ বছরে দেশ একজন "নিরব রাষ্ট্রপতি" দেখেছে।
আরও পড়ুন ঃ
রাজযোগ চলছে দ্রৌপদী মুর্মুর, জেনে নিন বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর কুণ্ডলী
ভারতে বাড়ছে করোনা, কোভিড-১৯ এর নতুন রূপকেই দায়ী করছেন বিজ্ঞানীরা