সংক্ষিপ্ত
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত অর্থাৎ মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ নভেম্বর। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ নভেম্বর।
আগরতলা পুরনির্বাচনে (Agartala Municipal Corporation Election) লড়াই করার কথা আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সেই মতো কয়েকদিন আগেই পুরনির্বাচনের সব আসনেই প্রার্থী (TMC Candidate) ঘোষণা করেছিল তারা। ২৫ নভেম্বর সেখানে পুরনির্বাচন। কিন্তু, নির্বাচনের আগে স্ক্রুটিনিতে বাতিল হয়ে গেল আটটি মনোনয়নপত্র। তৃণমূলের একটি মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। পাশাপাশি বিজেপি ও সিপিএমের দুটি করে মনোনয়ন ও কংগ্রেসের একটি মনোনয়নপত্র (Nomination) বাতিল হয়েছে। এছাড়া অন্য দলেরও দুটি মনোনয়ন পত্র আটকে গিয়েছে স্ক্রুটিনিতে (Scrutiny)।
২৫ নভেম্বর ত্রিপুরার আগরতলা পুরনিগম, ১৩টি পুর পরিষদ এবং ৬টি নগর পঞ্চায়েত অর্থাৎ মোট ৩৩৪টি আসনে নির্বাচন হবে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল ৩ নভেম্বর। আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ নভেম্বর। ৩৩৪টি আসনের জন্য মোট ৮২৯ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। বিজেপি থেকে ৩৩৬, তৃণমূলের ১২৫, সিপিএম ২১৪, সিপিআই ৬, আরএসপি ২, ফরওয়ার্ড ব্লক ৫, কংগ্রেস ১০১, নির্দল ৩২ এবং অন্যান্য ৮ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে সব দল মিলিয়ে মোট ৮টি মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- "এত লজ্জা না পেয়ে দল ছেড়ে দিন", ‘ধৈর্যের বাঁধ’ ভেঙে তথাগতর বিরুদ্ধে মন্তব্য দিলীপের
আরও পড়ুন- আগরতলার পুরভোটে মহিলাদের উপরই আস্থা তৃণমূলের, চমক দিতে ৫১ জনের মধ্যে ২৫ জনই মহিলা
উল্লেখ্য, এবার প্রথমবার আগরতলায় পুরনির্বাচনে লড়াই করছে তৃণমূল। ৩ নভেম্বর পুরভোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) প্রতিশ্রুতি মতো ৫১টি আসনেই তারা প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২৫টি আসনেই রয়েছেন মহিলা প্রার্থী। পুরনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা বাবলু চক্রবর্তী। ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি নেতা সুধীর রায় বর্মণ ঘনিষ্ঠ শ্যামল পালও প্রার্থী হয়েছেন। পাশাপাশি প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর পান্না ঘোষকেও টিকিট দিয়েছে ঘাসফুল শিবির।
আরও পড়ুন- দেশের একাধিক রাজ্যে ১০০-র নীচে পেট্রোল, কেন কমেনি বাংলায়, সরব হতে চলেছে BJP
তবে ৩৩৪টি আসনের জন্য বিজেপি ৩৩৬টি মনোনয়ন জমা দিয়েছিল। তার ফলে দুটি বাতিল হয়ে গেলেও তাতে তাদের কোনও সমস্যা হবে না। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় খোয়াই পুর পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম প্রার্থী পূর্ণিমা দাস মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে এই ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে বিজেপি। এছাড়া শান্তিরবাজার, উদয়পুর, বিশালগড়, মোহনপুর ও রানির বাজার পুর পরিষদে একটিতেও প্রার্থী দিতে পারেনি বামেরা। একইসঙ্গে জিরানিয়া ও কমলপুর নগর পঞ্চায়েতেও প্রার্থী দিতে পারেনি না তারা। জিরানিয়া নগর পঞ্চায়েতে ১১টি আসনের মধ্যে মাত্র ১ টি অন্যরা প্রার্থী দিয়েছে। আর শান্তিরবাজার পুর পরিষদে ১৫টির মধ্যে ৬টিতে নির্দল প্রাথী দিয়েছে। বাকিগুলির একটিতেও বিরোধীরা মনোননয়ন দিতে পারেনি। তার জন্য অবশ্য বিজেপিকেই দায়ি করেছে তারা। যদিও সেই অভিযোগ মানতে নারাজ বিজেপি।