সংক্ষিপ্ত

যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ডিএ পান ৫০ শতাংশ হারে সেখানে রাজ্য সরকারের কর্মীরা ডিএ পান মাত্র ১৪% হারে। অর্থাৎ ৩৬ শতাংশের পার্থক্য রয়েছে ২ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া ডিএ -এর পরিমাণে।

সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাস নাগাদ কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মিদের ডিএ সংক্রান্ত ঘোষণা করা হয়। তবে ঘোষণা যবেই হোক না কেন জুলাই মাস থেকেই বর্ধিত ডিএ -এর পরিমাণ যুক্ত হতে থাকে। প্রথমবার বর্ধিত DA যুক্ত বেতন হাতে পেলে, আগের মাসের বকেয়া ডিএ টুকুও দেওয়া হয় সেই সাথেই। অর্থাৎ যদি সেপ্টেম্বর মাসে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা হয় এবং সেপ্টেম্বর মাসেই মাইনার সাথে বর্ধিত ডিএ পাওয়া যায়, তাহলে জুলাই ও আগস্ট মাসের বকেয়া ডিএ -এর পরিমাণও একই সাথে দেওয়া হবে সেপ্টেম্বরে।

যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ডিএ পান ৫০ শতাংশ হারে সেখানে রাজ্য সরকারের কর্মীরা ডিএ পান মাত্র ১৪% হারে। অর্থাৎ ৩৬ শতাংশের পার্থক্য রয়েছে ২ সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া ডিএ -এর পরিমাণে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের মধ্যে বেশ ক্ষোভ দেখা গেছে ডিএ নিয়ে। যদি জুলাই মাসে আবারও ডিএ -এর পরিমাণ বাড়ে, তাহলে রাজ্য সরকারের সাথে পার্থক্য আরও বেড়ে যাবে।

মাত্র ৬ মাস আগে জানুয়ারি মাসেই বারানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ-এর পরিমাণ। তখনও ৪ শতাংশ হারেই বাড়ানো হয়েছিল ডিএ -এর পরিমান। ডিএ বাড়ার সাথে সাথে বেড়ে গিয়েছিল আরো বেশ কিছু ভাতার পরিমাণ। জানুয়ারি মাসে বর্ধিত ডিএ-এর পরিমাণ হয়ে যায় ৫০ শতাংশ পাশাপাশি বেড়ে যায় রেন্ট অ্যালাউন্সের মতন একাধিক ভাতার পরিমাণও। ফলে প্রত্যেক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন এক লাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল জানুয়ারি মাসে। জুলাই মাসে আবারো ডিএ-এর পরিমাণ বাড়ানো হলে আবারও কিছুটা বেড়ে যাবে বেতনের পরিমাণও।

ডিয়ারনেস অ্যালাউন্স বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠলেও, তা সম্পূর্ণই আনুমানিক স্তরে রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনো রকম মন্তব্য করা হয়নি। আপাতত কেন্দ্রীয় সরকারি সমস্ত কর্মীরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পেয়ে থাকেন। ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেলে বর্ধিত এর পরিমাণ হবে ৫৪% এবং ৫% হাড়ে ডিএ বৃদ্ধি পেলে, বর্ধিত ডিএর পরিমাণ হবে ৫৫ শতাংশ। সপ্তম পে কমিশনের এই নীতি বজায় থাকবে নাকি পরিবর্তিত হবে তা এখনো আনুমানিক আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।