সংক্ষিপ্ত
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেলা স্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার জন্য তিনি টেলিমেডিসিনের ওপর জোর দেন। খতিয়ে দেখেন দেশের হাসপাতাল, শয্যা, অক্সিজেনের অবস্থা। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, ওষুধ ও ভেন্টিলেটরের সরবারাহের ব্য়বস্থার ওপরেও নজর দিয়েছেন।
দেশের করোনাভাইরাস (Coronavirus) সংক্রান্ত পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের (All State Of CMs) সঙ্গে কথা বলেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে খবর বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন। দেশের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করার জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলবেন।
স্বাস্থ্য মনন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বুধবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের পরিসংখ্যান ১ লক্ষ ৯৪ হাজারের বেশি। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ৬০ লক্ষ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪৪২ জনের। মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪ লক্ষের বেশি। দেশে এদিন অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১.৩৩,৮৭৩।
বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমণ দ্রুতগতিতে বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের পরিসংখ্যানের গড় ১ লক্ষর কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। ওমিক্রনের কারণেই দেশে কোভিড সংক্রমণ দ্রুত হচ্ছে বলেও মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রাজ্যে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পরিষেবা। তবে প্রত্যেক রাজ্যও জরুরি ও অত্যাবষ্যকীয় পণ্যপরিষেবা চালু রেখেছে। তবে আংশিক এই লকডাউনে সংক্রমণে কতটা রাশ টাকা যাবে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।
সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে দেশের করোনা পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। দ্বিতীয় তরঙ্গের তুলনায় হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা তৃতীয় তরঙ্গে বেশি হতে পারে। এখনই হাসপাতালে ভর্তির হাস ১৫-২০ শতাংশ। সেইকারণে রাজ্যগুলিতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিকাঠামো গড়ে তুলতে পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। একাধিকবার রাজ্যগুলিকে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ে সতর্কও করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
অন্যদিকে রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেলা স্তরের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় স্বাস্থ্য সেবার জন্য তিনি টেলিমেডিসিনের ওপর জোর দেন। খতিয়ে দেখেন দেশের হাসপাতাল, শয্যা, অক্সিজেনের অবস্থা। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন, ওষুধ ও ভেন্টিলেটরের সরবারাহের ব্য়বস্থার ওপরেও নজর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মাস্ক পরা ও নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার সঙ্গে কোভিড বিধি মেনে চলার ওপরেও জোর দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন কোভিড সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার অন্যতম হাতিয়ার হল টিকা। টিকা অভিযান নিয়েও সেই বৈঠকে খোঁজখবর নেন তিনি। বর্তমানে ভারতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার সঙ্গে কিশোর-কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কাজও চলছে জোর কদমে।
ISRO New Chairman: ইসরোর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন এস সোমানাথ, চিনে নিন রকেট বিজ্ঞানীকে