সংক্ষিপ্ত
'প্রিয়াঙ্কা টুইটার বঢরা' কংগ্রেস নেত্রীকে কটাক্ষ
উত্তর প্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় প্রিয়াঙ্কা
কংগ্রেস নেতৃত্বকে চোখ দেখানোর পরামর্শ
নেত্রী হিসেবে চরম ব্যর্থ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। নিজের ভাইকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নিজের ভাইয়ের জয়টাও নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বদা তিনি সক্রিয়া থাকেন। ঠিক এই ভাবেই কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করেন উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য।
সোস্যাল মিডিয়া যথেষ্টভাবে প্রজেক্ট করছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে। জাতীয় নেত্রী হিসেবেও তাঁকে দেখান হয়েছে। আর তিনিও খবরে আসার জন্য ২-৩ দিন ছাড়া ছাড়াই কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে ট্যুইট করতেই থাকেন। বারবার সোস্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হওয়ার জন্য রাজ্য বিজেপির অনেক নেতাই তাঁকে ঠাট্টার ছলে প্রিয়াঙ্কা ট্যুটার বঢরা বলে জানিয়েছেন উত্তর প্রদেশের উপ মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তর প্রদেশের কোন নেতাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। কারণ ২০১৯ সালে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যখন রাজ্যে দলের দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন তখন তার স্বপ্ন ছিল ভাই রাহুল গান্ধীকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাবেন। কিন্তু তাঁর সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। উত্তর প্রদেশের আমেঠি আসনটিও হাতছাড়া হয়েছে রাহুল গান্ধীর। সেখানে সহজ জয় পেয়েছেন বিজেপির নেত্রী স্মৃতি ইরানি।
ঘরে বাইরে কোনঠানা ট্রাম্প, প্রতিবাদে সামিল টুডো, হোয়াইট হাউসের রাস্তার নাম বাদলালেন মেয়র ...
কেশব প্রসাদ মৌর্য আরও বলেন উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস তার গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। এখানে নেতা নেত্রীরা মাঝে মাঝে এসে শুধু ছবি তুলেই দায় সারেন। প্রিয়াঙ্কা শুধুমাত্র আলোচনায় থাকার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
পাশাপাশি কংগ্রেস নেতৃত্বকে তীব্র কটাক্ষ করে কেশব মৌর্য বলেন যে, ভালো কোনও চক্ষু বিশেষজ্ঞগের কাছে গিয়ে প্রত্যেক কংগ্রেস নেতার পরামর্শ নেওয়া উচিৎ। কারণ মোদী ও যোগীর নেতৃত্বে রাজ্যে রীতিমত উন্নয়ন যোগ্য চলছে।
মমতার মুখে বঙ্গ আর দিলীপের মুখে পদ্ম, রাজ্যে কি শুরু হল 'মাস্ক রাজনীতি' ...
গতকালই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রিয়াঙ্কা ও রাহুলকে ইতালি প্রসঙ্গ তুলে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। এদিন উপমুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বিদ্ধ প্রিয়াঙ্কা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনা পরিস্থিতি ও প্রবাসী শ্রমিক ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বকে রীতিমত ব্যতিব্যস্ত রেখেছিলেন। তাতেই এই পদক্ষেপ বিজেপি নেতৃত্বের।