সংক্ষিপ্ত
সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মধ্যে কোনও দলাদলি বা দ্বন্দ্ব নেই।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নতুন ১৫ জন মন্ত্রীর মধ্যে পাঁচ জনই কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটলের (Sachin Pilot) অনুগামী। রাজস্থান মন্ত্রিসভা রদবদলে (Rajasthan cabinet Reshuffle) কিছুটা হলেও স্বস্তির হাওয়া মরুরাজ্যে। রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) আর শচীন পাইটলের দ্বন্দ্ব মেটাতে রীতিমত বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল কংগ্রেস (Congress)। আর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর যুদ্ধ জয়ের হাসি রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত শচীন পাইলটের মুখেই। তবে আগামী ২০২৩ সালের রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে জিততে সে ব্যাপারে অবশ্য কোনও মতান্তর নেই গেহলট-পাইটলের মধ্যে। দুজনেই আশাবাদী আগামী দিনে রাজস্থানের ক্ষমতায় ফিরছে কংগ্রেসই।
যে শচিন পাইল গত বছরই অনুগামী বিধায়কদের নিয়ে দিল্লিতে চলে এসে সংকটে ফেলে দিয়েছিলেন অশোক গেহলট সরকারকে, পাশাপাশি রাজস্থান সরকারকে কোর্টেও টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই শচীন পাইলট এদিন সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মধ্যে কোনও দলাদলি বা দ্বন্দ্ব নেই। কংগ্রেস আগেও যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিল, এখনও তেমনই ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। আগামী ২০২৩ সালে নির্বাচনে জয়ের জন্য কংগ্রেস ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করবে। শচীন পাইলট আরও জানিয়েছেন আলোচনার পর দল যে পদক্ষেপ করেছে তা রাজ্যজুড়ে একটি ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে।
Tripura TMC: থানায় আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা, বিপ্লব দেবের সরকারকে নির্লজ্জ বলে তোপ অভিষেকের
Viral Post: পোষাকের কারণ দেখিয়ে স্টেট ব্যাঙ্কে ঢুকতে বাধা গ্রাহককে, ভাইরাল পোস্টের জবাব দিল ব্যাঙ্ক
Farm Law Repealed: কৃষক আন্দোলন চলবে, এবার কৃষকদের খোলা চিঠি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে
রাজস্থানের মন্ত্রিসভায় সম্প্রতি এটি ছিল সব থেকে বড় রদবদল। ১৫ জন এদিন মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার মধ্যে ১১ জনই মন্ত্রিপরিষদের সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ৪ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ১১ জন পূর্ণ মন্ত্রীর মধ্যে তিন জন আগে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন, তাঁদেরই পূর্ণ মন্ত্রী করা হয়েছে। অন্যদিকে গেহলটের মন্ত্রিসভা থেকে আগের তিন মন্ত্রীকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিরা বহার রয়েছেন। মন্ত্রিসভার এই রদবদলে অশোক গেহলটের মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা ৩০এর পৌঁছে গেল।
রাজস্থানের মন্ত্রিসভার রদবদলে শচীন পাইলট ও অশোক গেহলটের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বের অবসান হলেও নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন কংগ্রেস বিধায়ক শাফিয়া জুবায়ের। মন্ত্রিসভায় মহিলা প্রতিনিধির সংখ্যা কম রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। বলেছেন মন্ত্রিসভার পরিকাঠামো আরও ভালো হওয়া উচিৎ ছিল। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের অনেকেরই পদোন্নতি হয়েছে। মন্ত্রিসভা কোনও সদর্থক বার্তা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ মহিলা বিধায়করা ৩৩ শতাংশ সংরক্ষণ পাননি মন্ত্রিসভায়।