সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে উঠেছিল আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের আবারও তদন্তের মামলা। মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক খুন ও ধর্ষণ মামলায় (RG Kar murder and rape case) নির্যাতিতার পরিবার (victim's family)আবারও তদন্তের আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল। শীর্ষ আদালতে দ্রুত শুনানির আবেদনও জানিয়েছিল। কিন্তু আদালত জানিয়েছে এই মামলার দ্রুত শুনানির প্রয়োজন নেই। তাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আবার মার্চ মাসে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে উঠেছিল আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের আবারও তদন্তের মামলা। মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন নির্যাতিতার বাবা ও মা। কিন্তু শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না জানিয়েছেন, এই মামলায় তাড়াহুড়ো করার প্রয়োজন নেই। আগামী ১৭ মার্চ নির্ধারিত দিনেই এই মামলাটি শুনানির জন্য উঠবে আদালতে।

কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরজি কর মামলার তদন্ত করেছে সিবিআই। চার্জশিটে সিবিআই খুন ও ধর্ষণকাণ্ডে মাত্র একজনকেই দোষী সাব্য়স্ত করেছে। সঞ্জয় রায়কেই দোষী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিবিআই -এর এই তদন্তে খুশি নয়, নির্যাতিতার পরিবার। প্রথম থেকেই তাদের দাবি ছিল আরজি কর হত্যাকাণ্ড একা সঞ্জয় রায়ের পক্ষে ঘটনো সম্ভব নয়। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িয়ে রয়েছে। দোষীদের সকলেরই কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে নির্যাতিতার পরিবার। তাদের দাবি তদন্তে অনেক ত্রুটি রয়েছে। সেগুলি আবারও সিবিআই-এর খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। অন্যদিকে শিয়ালদহ আদালতে সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেও কলকাতা হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছে। সেখানেও সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও সিবিআই- সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবি জানালে তারও বিরোধিতা করেছে। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি এই ঘটনায় জড়িত বাকি সকলেই কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সঞ্জয় একা এই ঘটনায় যুক্ত নয় বলেও তাদের দাবি।

সিবিআই-র আবার তদন্তের আবেদন নিয়ে নির্যাতিতার পরিবার প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। তলতাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল এই মামলাটি শুনার জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি লাগবে। তখনই নির্য়াতিতার পরিবার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। এই মামলায় শুনানি হবে আগামী ১৭ মার্চ। সেই দিনই স্থির করা হবে এই মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে হবে কিনা, আর সিবিআই আবারও তদন্ত শুরু করতে কিনা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।