সংক্ষিপ্ত
১৯৭০-এর দশকে ভারতে যতগুলি সফট ড্রিংকসগুলি পাওয়া যেত, সেগুলির দাম তুলনামূলক ভাবে যথেষ্ট বেশি ছিল। তখনই কম খরচে রসনা বাজারে নিয়ে এসেছিলেন খামবাট্টা।
প্রয়াত হলেন আরিজ পিরোজশা খামবাট্টা। সারা ভারতের বহু প্রজন্মের কাছে খুব প্রিয় একটি নাম এনে দিয়েছিলেন তিনি, সেই নামটি হল ‘রসনা’। খামবাট্টাই ছিলেন রসনা পানীয়ের জন্মদাতা। সোমবার রসনা গ্রুপের তরফে জানানো হয়েছে, চেয়ারম্যান তথা প্রতিষ্ঠাতা আরিজ পিরোজশা খামবাট্টার প্রয়াণ হয়েছে, মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
শুধুমাত্র রসনা নয়, WAPIZ (ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স অফ পারসি ইরানি জারোথোসটিস)-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, আহমেদাবাদ পার্সি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সভাপতি এবং ফেডারেশন অফ পার্সি জরথুস্ট্রিয়ান আঞ্জুমানস অফ ইন্ডিয়ারও সহ-সভাপতি ছিলেন খামবাট্টা।
তাঁর মৃত্যুর পর রসনা গ্রুপের একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "ভারতীয় শিল্প, ব্যবসা জগতে, বিশেষ করে গুরুত্বপূর্ণভাবে সামাজিক সেবার মাধ্যমে সামাজিক উন্নয়নে খামবাট্টা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।”
দেশের অন্যতম আইকনিক সফট ড্রিংকস রসনার জোরেই গোটা দেশে পরিচিতি পেয়েছেন খামবাট্টা। দেশে ১.৮ মিলিয়ন আউটলেটে এখন এই সুস্বাদু পানীয় বিক্রি হয়। বর্তমানে সফট ড্রিংকস প্রস্তুতকারক হিসেবে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে রসনাই। গোটা বিশ্বে প্রায় ৬০টি দেশে বর্তমানে রসনার ব্যাপক চাহিদা আছে।
১৯৭০-এর দশকে ভারতে যতগুলি সফট ড্রিংকসগুলি পাওয়া যেত, সেগুলির দাম তুলনামূলক ভাবে যথেষ্ট বেশি ছিল। তখনই কম খরচে রসনা বাজারে নিয়ে এসেছিলেন খামবাট্টা। এটার দাম এতটাই কম ছিল যে, নিম্ন মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে সহজেই চলে আসত গ্লাস ভর্তি সুস্বাদু পানীয়। আশির দশকে পাওয়া একটা ৫ টাকার রসনার প্যাকেট থেকে প্রায় ৩২ গ্লাস ভর্তি সফট ড্রিংক পাওয়া যেত। হিসেব করলে দেখা যাচ্ছে, সেই সময়ে প্রতি গ্লাস রসনার দাম পড়ত মাত্র ১৫ পয়সা করে। আরিজ পিরোজশা খামবাট্টাই ভারতীয় বাজারে সেই বাণিজ্যিক সৃষ্টিকর্তা, যিনি এত কম দামে এত সুস্বাদু পানীয় একটি দরিদ্র দেশকে এনে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-
‘অসচ্চরিত্র লোকজনের ভিড়’, মুসলমানদের কাতার বিশ্বকাপ দেখতেই নিষেধ করে দিল আল কায়দা
জনসমক্ষে মহিলার হাতে থাপ্পড় খেলেন দেশের রাষ্ট্রপতি, ফ্রান্সের ভিডিও বিশ্ব জুড়ে ভাইরাল
ভারতে জঙ্গিগোষ্ঠী তৈরি করে পাকিস্তানের সাথে যোগ, ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ খলিস্তানি জঙ্গি খানপুরিয়াকে গ্রেফতার করল এনআইএ