সংক্ষিপ্ত
- সরকারিভাবে ভারতীয় বায়ুসেনাতে সামিল হল অ্যাপাচে হেলিকপ্টার
- স্বাভাবিকভাবেই একলাফে অনেকটাই বাড়ল বায়ুসেনার শক্তি
- এই হেলিকপ্টারগুলি শুধু আক্রমণ নয়, নিরাপত্তা, উদ্ধার, শান্তিরক্ষার কাজও করতে পারে
- প্রধান অস্ত্র হিসেবে রয়েছে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র
৩ সেপ্টেম্বর দিনটি ভারতীয় বায়ুসেনার ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে। কয়েকদিন আগেই দেশে এসে পৌঁছলেও, এদিনই সরকারিভাবে বাহিনীতে সামিল করা হল বোয়িং অ্যাপাচে এএইচ ৬৪ই হেলিকপ্টার। স্বাভাবিকভাবেই এই অত্যাধুনিক মডেলের সামরিক হেলিকপ্টার হাতে আসায় একলাফে অনেকটাই বেড়ে গেল ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি। দেখে নেওয়া যাক, এই হেলিকপ্টারগুলিকে কী এমন রয়েছে, যার জন্য এত বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বায়ুসেনা।
কী রয়েছে, নয় বলা ভাল কী নেই। কারণ অ্যাপাচের নতুন এই মডেলগুলি সামরিক হেলিকপ্টারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি থ্রাস্ট-সম্পন্ন, লিফটও সবচেয়ে বেশি। অর্থাৎ একধাক্কায় গতি বাড়াতে বা অনেকটা উচ্চতায় উঠে যেতে পারে। একই সঙ্গে রয়েছে যৌথ ডিজিটাল অপারেবিলিটি। যার ফলে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হয়। একই সঙ্গে কপ্টারগুলির আয়ুও বাড়ে।
বিভিন্ন রকমের কাজের জন্য় আগে থেকেই বিভিন্ন মোড দেওয়া রয়েছে। যা কাস্টমাইজ করেও নেওয়া যাবে। এই মোডগুলির সাহায্যে নিরাপত্তা, উদ্ধারকাজ, শান্তিরক্ষার থেকে কড়া আক্রমণের মতো মোডগুলি ব্।যবহার করে সহজেই এক হেলিকপ্টার দিয়েই বিভিন্ন কাজ করা যাবে।
এবার আসা যাক এর অস্ত্র ভান্ডারে। এই কপ্টারে প্রধান অস্ত্র হিসেবে রয়েছে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিজেই এটা ড্রোনের মতো। নিজস্ব গাইডেন্স সিস্টেম, স্টিয়ারিং কন্ট্রোল, প্রোপালশন সিস্টেম রয়েছে। একটি দারুণ শক্তিশালী বিস্ফোরক সম্বৃদ্ধ পেলোড বহন করে ক্ষেপণাস্ত্রটি। যা নিক্ষেপ করলে একটি ট্যাঙ্কও ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। এরসঙ্গে রয়েছে দুটি হাইড্রা রকেট লঞ্চার। প্রতিটি লঞ্চারে ১৯টি করে এরিয়াল রকেট থাকে। এই রকেটগুলি একটি একটি করে, অথবা একসঙ্গে সবগুলি ছোড়া যায়। রকেচটগুলির মধ্যে ভারী বিস্ফোরক অথবা শুধু ধোঁয়া নির্গত হয় এমন রাসায়নিকও ভরা যাবে।
আরো পড়ুন - আরও সমৃদ্ধ সমর সম্ভার, বায়ুসেনার দখলে ৮টি নতুন আক্রমণকারী অ্যাপাচে হেলিকপ্টার
আরো পড়ুন - সবচেয়ে উন্নত সামরিক হেলিকপ্টার এখন ভারতের হাতে! আরও শক্তিশালী বায়ুসেনা
আরো পড়ুন - রাফাল নয় বোয়িং, নতুন কপ্টার ভারতীয় সেনার হাতে
ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে রাশিয়ায় তৈরি এমআই-৩৫ কপ্টারগুলি বেশ পুরোনো হয়ে গিয়েছে। প্রায় চার দশক ধরে এই কপ্টারগুলি ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সেগুলিকে এইবার অবসর দিয়ে, তাদের জায়গাতেই এই অ্যাপাচে হেলিকপ্টারগুলি ব্যবহার করা হবে। এই কপ্টারগুলি চালাতে সড়গড় হওয়ার জন্য আইএফে তাদের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।