সংক্ষিপ্ত
- ওয়েবসাইট-সোশ্যাল মিডিয়ায় দিতে হবে প্রার্থীর অপরাধের রেকর্ড
- সবকটি রাজনৈতিক দলকে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট
- মনোনয়নের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই তথ্য দিতে তবে
- প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য থাকবে
গত চারটি লোকসভা নির্বাচনে দেখা গেছে প্রতিটি রাজনৈতিক দলে ক্রমেই বাড়ছে ক্রিমিনাস কেস থাকা প্রার্থীদের সংখ্যা। বিষয়টি নিয়ে বিচলতি খোদ দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাই এবার থেকে লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে টিকিট দেওয়া প্রার্থীদের অপরাধের রেকর্ড সবিস্তারে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে। বৃহস্পতিবার এমন নির্দেশই দিল সুপ্রিম কোর্ট।
শীর্ষ আদালত এদিন স্পষ্ট করে দেয়, অপরাধের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচনে লড়তে চলা এমন প্রার্থীকে চিহ্নিত করতেই হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, ক্রিমিনাল কেস চলছে, এমন কাউকে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করালে, মনোনয়নের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে থাকা অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পার্টির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। পাশাপাশি ওই তথ্য একই সময়সীমার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদপত্রেও প্রকাশিত করতে হবে। অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিতে কেন ভোটের টিকিট দেওয়া হয়েছে তারও ব্যাখ্যাও আপলোড করতে হবে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলকে।
আরও পড়ুন: আলাপ করুন 'এলা'-র সঙ্গে, নিউজিল্যান্ড পুলিশের শোভা বাড়াচ্ছে এই রোবট সুন্দরী
প্রার্থী সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনকে নথি দিতে হবে অন্তত ৭২ ঘণ্টা আগে। কোনও রাজনৈতিক দল এই নির্দেশিকা না মানলে তা াদালত অবমাননার সামিল হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি আর এফ নরিম্যানের ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন: কেজরির শপথে থাকবেন কেবল দিল্লিবাসী, মমতার উপস্থিতি নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা
কোন প্রার্থীর জেতার সম্ভাবনা কতটা, শুধুমাত্র সেটাই ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে বিবেচিত হতে পারে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়ের আবেদনের ভিত্তিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
শুনানি চলাকালীন নির্বাচন কমিশন আদালতে জানায়, সাংসদদের ৪৩ শতাংশেরই অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। তারপরেই আদালত নির্দেশ দেয়, নমিনেশন জমা দেওয়ার পরে সংবাদপত্র সহ তিন জায়গায় অপরাধের বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করতে হবে প্রার্থীকে।
রাজনীতিতে স্বচ্ছতা আনার জন্য সওয়াল চলছে বহু দিন ধরেই। বিভিন্ন সময়ে দেশের নানা মহল থেকে এই ব্যবস্থার বদল চেয়ে সওয়াল তোলা হয়েছে। অপরাধে অভিযুক্তকে প্রার্থী না করা নিয়ে বারবার সওয়াল উঠেছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি রাজনৈতিক দলগুলি। এবার সেই ব্যাপারেই কড়া পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট।