সংক্ষিপ্ত

দিল্লির দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court of India) হলফনামা পেশ করে তিরস্কৃত আপ সরকার (AAP Govt)। কী বলল আদালত?
 

দুষণে ঢেকে যাচ্ছে দিল্লি (Delhi Pollution)। অথচ, আপ সরকার (AAP Govt) তা রোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার বদলে জনপ্রিয় স্লোগান তৈরিতে কাড়ি কাড়ি টাকা ব্যয় করছে। সোমবার, দিল্লির দূষণের বিষয়ে হলফনামা পেশ করে, সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of India) রোশের মুখে পড়ল দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) সরকার। হলফনামায় শহরের বাতাসের মান উন্নত করার জন্য তাত্ক্ষণিক ব্যবস্থার বিশদ বিবরণ দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, হলফনামাটি পড়ে শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, দিল্লি সরকার দুষণ রোধে ব্যবস্থা না নিয়ে তার দায় চাপাতে চাইছে পুর কমিশনারের উপর। এরপরই সরকারের মোট রাজস্বের অডিট করার আদেশ দেওয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি। 

এদিন দিল্লি সরকারের পক্ষে আইনজীবী রাহুল মেহরা (Adv. Rahul Mehra) শীর্ষ আদালতে হলফনামাটি দাখিল করেন। প্রধান বিচারপতি এনভি রামানা (CJI NV Ramana), ওই হলফনামার কথা ছেড়ে সরকার কী কী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে, তা জানতে চান। রাহুল মেহরা তার জবাবে বলেছিলেন, মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনগুলিকে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। তাতেই সিজেআই চটে গিয়ে বলেন, 'আপনি কি পুর কর্পোরেশনের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন?' বিচারপতি সূর্য কান্ত (Justice Surya Kant) বলেন, 'আপনি যদি এই কথা বলেন, আমরা আপনার (দিল্লি সরকারের) মোট রাজস্বের অডিটের আদেশ দেব। আপনারা জনপ্রিয় স্লোগানে অনেক বেশি ব্যয় করছেন।'

আরও পড়ুন - দূষণ কেড়ে নিচ্ছে ভারতীয়দের আয়ু, ইতিমধ্যেই চলে গিয়েছে ৯ বছর - বিপর্যয়ের গ্রাসে দেশ

আরও পড়ুন - Delhi Pollution: 'অলিখিত লকডাউন', এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ স্কুল, দূষণ মোকাবিলায় একগুচ্ছ পরামর্শ

আরও পড়ুন - Delhi Pollution: দূষণ মোকাবিলায় কি লকডাউন, দিল্লি ও কেন্দ্র সরকারের কাছে জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালত এদিন জানিয়েছে, খড় পোড়ানো ছাড়াও দিল্লির বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ হল পরিবহন, শিল্প, যানবাহন চলাচল। আদালত বলেছে, 'সরকার সময়মত পদক্ষেপ নিলে, দূষণ নিয়ন্ত্রণযোগ্য মাত্রায় রাখা যেতে পারে'। কিন্তু তারা কৃষক ও তাদের খড় পোড়ানোকে দোষারোপ করতেই ব্যস্ত। এই অবস্থায় আদালত, কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে বলেছে। সেখানে দুই সরকারকে জানাতে হবে, কোন শিল্পগুলি বন্ধ রাখা যেতে পারে, কোন কোন যানবাহনগুলিকে চলাচলে বাধা দেওয়া যেতে পারে এবং কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি বন্ধ করা যেতে পারে। প্রতিবেদনে আরও জানাতে হবে, সেই সময় সরকার কীভাবে বিকল্প শক্তি সরবরাহ করবে। বুধবার, ১৭ নভেম্বর কেন্দ্র ও রাজ্যকে এই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

সেইসঙ্গে এদিন সুপ্রিম কোর্টের আদেশে, রাজ্য সরকারগুলিকে বলা হয়েছে, যাতে তারা কৃষকদের বোঝায়, আগামী দুই সপ্তাহ খড় পোড়ানো বন্ধ রাখার জন্য। এছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকারকে আদালত বলেছে, তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করানো যায় কিনা, সেই কথা বিবেচনা করতে।

YouTube video player