সংক্ষিপ্ত
প্রবল বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬ পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমানের উড়ান স্থাগিত রাখা হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু (Tamil Nadu Rain)। রাজ্যের চেন্নাই (Chenni Rain), তিরুভাল্লুর, রানিপেট, ভেলোরসহ বেশ কয়েকটি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। এই জেলাগুলিতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতি ও শুক্রবার রাজ্যের উপকূলবর্তী এলায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার প্রবল বৃষ্টির কারণেই জলমগ্ন চেন্নাইের মত মেট্রোসিটিও। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে স্বাভাবিক জনজীবন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে প্রবল বৃষ্টির কারণে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬ পর্যন্ত চেন্নাই বিমানবন্দর থেকে সমস্ত বিমানের উড়ান স্থাগিত রাখা হয়েছে। তবে বিমান নামতে পারবে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিন্মচাপের কারণে তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে নিম্নচাপ অক্ষরেখাটি স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে। চেন্নাই থেকে সেটি মাত্র ৮০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্ব ও পুদুরেচি থেকে ১৪০ কিলোমিটার পূর্ব উত্তর পূর্বে অবস্থান করেছিল সকাল ১১টা ৩০ পর্যন্ত। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এটি উত্তর পশ্চিমে অগ্রসর হয়ে এদিনই বিকেলে তামিলনাড়ু ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে প্রবেশ করতে পারে।
Kangana Ranaut: পদ্ম অনুষ্ঠানে করণ জোহরকে তন্ন তন্ন করে খুঁজে বেড়িয়েছিলেন, কেন এই কথা বললেন কঙ্গনা
Congress: তবে কি মন্ত্রিত্বে ফিরছেন শচীন পাইলট, গেহলটের দিল্লি সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে
বৃহস্পতিবার সকালে থেকে প্রবল বৃষ্টির কারণে চেন্নাইয়ের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন হয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে পাতালরেল পরিষেবা। জল জমে থাকায় ব্যহত রয়েছে রেল পরিষেবা। অন্যদিরে রাজ্য প্রশাসন জানিয়েছে তিরুভাল্লারু জেলায় কোসথালাইয়ার নদীর বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। প্রবল বৃষ্টির কারণে প্রায় দেড় লক্ষ একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলেও তামিল প্রশাসন জানিয়েছে।
তালিমনাড়ু প্রশাসন জানিয়েছেন গত পাঁচ দিন ধরে অবিরাম বৃষ্টিপাত হচ্ছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, ১৫৭টি গবাদি পশুর মারা গেছে। এক হাজারেও বেশি কুঁড়ে ঘর ভেঙে পড়েছে। ২৩৭টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৩০.৬৪ মিমিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে, চেন্নাই কাঞ্চিপুরমসহ বেষ কয়েকটি জেলায় ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। তৈরি রয়েছে রাজ্য পুলিশও। ইতিমধ্যেই বানভাসি এলাকায় খাবার ও ওষুধ সরবরাহের কাজ শুরু হয়েছে। নিচু এলাকা থেকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।