- Home
- India News
- অতিরিক্ত তাড়াহুড়োতেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ! আই২০ গাড়ির চালক ছিলেন উমরই, দাবি DNA রিপোর্টে
অতিরিক্ত তাড়াহুড়োতেই দিল্লিতে বিস্ফোরণ! আই২০ গাড়ির চালক ছিলেন উমরই, দাবি DNA রিপোর্টে
Delhi Blast and Umar Nabi: দিল্লির লালকেল্লা চত্বরে মেট্রো স্টেশনের কাছে বিস্ফোরণের মূল হোতা কাশ্মীরী চিকিৎসক উমর নবী? ডিএনএ-টেস্টের রিপোর্টে তেমনটাই অনুমান তদন্তকারী আধিকারিকদের। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

দিল্লির বিস্ফোরণ কাণ্ডে মূল হোতা উমর নবি
১০ নভেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লার কাছে মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে বিস্ফোরণে মূল ষড়যন্ত্রকারী পেশায় চিকিৎসক উমর নবি! মৃতের ডিএনএ টেস্টে তেমনটাই নমুনা মিলেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের খবর, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় হুন্ডা আই-২০ গাড়িটি উমরই চালাচ্ছিলেন। শুধু তাই নয়, প্রাথমিক তদন্তে অনুমান-একে একে যখন উমরের সহযোগীরা গ্রেফতার হচ্ছিল তখন চাপে পড়েগিয়েছিলেন উমর। তড়িঘড়ি গাড়ি চালিয়ে দিল্লি আসতে গিয়েই অসাবধানতাবশত বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। ফলে আতঙ্কে হটকারি সিদ্ধান্তই মৃত্য়ু ডেকে আনে উমরের।
কী বলছে ডিএনএ রিপোর্ট?
তদন্তকারীরা শুরু থেকেই সন্দেহ করেছিলেন যে হামলাকারী ছিলেন ডা. উমর। বিস্ফোরণের মাত্র ১১ দিন আগে তিনিই সেই ব্যবহৃত সাদা হুন্ডাই i20 গাড়িটি কিনেছিলেন। সূত্রের খবর, কাশ্মীরের পুলওয়ামায় তাঁর পরিবারের সদস্যদের থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনা, গাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মানবদেহের অংশের সঙ্গে মিলে যায়। এর ফলে নিশ্চিত হয় যে বিস্ফোরণের সময় হুন্ডাই i20 গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর নবি নিজেই।
জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের সঙ্গে যুক্ত উমর
উমরকে জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম)-এর এক লজিস্টিক মডিউলের সঙ্গে যুক্ত। যা ফারিদাবাদ, লখনউ এবং দক্ষিণ কাশ্মীরের মধ্যে সক্রিয় ছিল। অভিযোগ, ওই দলে ৯ থেকে ১০ জন সদস্য ছিল, যাদের মধ্যে ৫ থেকে ৬ জন চিকিৎসক ছিলেন। তাঁরা নিজেদের চিকিৎসক পরিচয় ব্যবহার করে বিস্ফোরক তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক ও উপকরণ সংগ্রহ করতেন।
সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উমর
পুলিশের সূত্রে খবর, গত ৯ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন উমর। তার আগের দিনই ফারিদাবাদের এক গুদামঘর থেকে প্রায় ২,৯০০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার করা হয়েছিল। সেই সময় অনুমান করা হয়েছিল যে, ধৌজ গ্রামের কাছাকাছি তিনি আত্মগোপন করে থাকতে পারেন। ৩০ অক্টোবর থেকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এবং এই সময়ে নিজের পাঁচটি মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। দিল্লি-এনসিআর ও পুলওয়ামায় নিরাপত্তা সংস্থার অভিযান এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় চাপে পড়ে উমর তাড়াহুড়ো করে ফেলেন। আর তারপরই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
আতঙ্কে বিস্ফোরণ!
তদন্তকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, ফরিদাবাদের তথাকথিত হোয়াইট কলার জঙ্গি মডিউলের ওপর সন্দেহ এসে পড়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর লাগাতার অভিযান শুরু হয়ে যায়। ভয়, আতঙ্কে ভুগছিলেন দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর। যিনি আদতে পুলওয়ামার বাসিন্দা। উমর ফরিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তদন্তকারীদের মতে, ধারাবাহিক অভিযানের পর নিরাপত্তা বাহিনীর চাপে পড়ে উমর নবি পালিয়ে যান। একাধিক সূত্র জানাচ্ছে, আতঙ্কে তিনি হঠকারিতা ও ভয় থেকে গাড়ি নিয়ে তড়িঘড়ি দিল্লিতে আসেন। সেই সময়ই গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে।
উমরের সঙ্গে সরাসরি জঙ্গিযোগ!
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, সিকিউরিটি সংস্থার অভিযান ও গ্রেফতারের চাপেই উমর চরম আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির মধ্যে কাজ করছিলেন। ওই তাড়াহুরোতেই বোমাটি 'প্রিম্যাচিউর' অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়। তা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারত। উমরের সরাসরি যোগাযোগ ছিল ফরিদাবাদে ধরা পড়া দুই চিকিৎসক - আদিল আহমেদ রাথার এবং মুজাম্মিল শেখিল গণাই-এর সঙ্গে। আদিল ছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের অনন্তনাগের গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র রেসিডেন্ট, যেখানে উমরও কিছুদিন কাজ করেছিলেন।

