সংক্ষিপ্ত
রাজ্য পুলিশ সদর দফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার জন্য স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াটি নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করা উচিত। ২০ নভেম্বরের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের তথ্য সদর দফতরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫০ বছর পূর্ণ হলেই নিতে হবে অবসর। এই নিয়ম এবার থেকে বাধ্যতামূলক। এমনই নিয়ম জারি করা হয়েছে রাজ্যের পুলিশ কর্মীদের জন্য। পুলিশ সদস্যদের জন্য দীপাবলির আগে এই সংবাদ বেশ উদ্বেগজনক তো বটেই। ফিটনেস, অসুস্থতা, দুর্নীতির অভিযোগ এবং সার্ভিস ট্র্যাক রেকর্ডের ভিত্তিতে এই পুলিশ সদস্যদের স্ক্রিনিং করা হবে। এই মাপকাঠিগুলো পূরণ না করা পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর অবসরের খাঁড়া নেমে আসতে পারে। পুলিশ বিভাগ এই বিষয়ে একটি আদেশ জারি করেছে এবং সমস্ত জেলায় স্ক্রিনিংয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। পিএসি হেডকোয়ার্টার্সের আইজির পক্ষ থেকে সব পিএসি জোনের আইজি, ডিআইজি এবং কমান্ডারদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক বিভাগ এবং পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি উন্নত করতে অনেক কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রাজ্য পুলিশ সদর দফতরের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে যে বাধ্যতামূলক অবসর নেওয়ার জন্য স্ক্রিনিং প্রক্রিয়াটি নিয়ম অনুযায়ী সম্পন্ন করা উচিত। ২০ নভেম্বরের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের তথ্য সদর দফতরে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যে পুলিশ সদস্যদের জোর করে অবসর নেওয়া হবে তাদের জন্য বেশ কিছু স্ক্রিনিং মানদণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিষেবার ট্র্যাক রেকর্ড, দুর্নীতি বা এই জাতীয় অন্য কোনও অভিযোগ, ফিটনেস থেকে অসুস্থতার মতো অনেকগুলি প্যারামিটার রয়েছে এতে।
উত্তরপ্রদেশে ৪০ থেকে ৪৫ জন পুলিশ সদস্যকে জোর করে অবসর দেওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিক ভাবে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গঠনের পর, গত বছরগুলিতে, ৪০ থেকে ৪৫ জন পুলিশ সদস্যকে এই বিভাগের আওতায় জোর করে অবসর দেওয়া হয়েছে। এ বছরও ধারণা করা হচ্ছে এই সংখ্যা এর আশেপাশেই থাকতে পারে। পুলিশ সংস্থার অতিরিক্ত মহাপরিচালক সঞ্জয় সিংগাল বলেছেন যে এটি একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া যা প্রতি বছর করা হয়। এর আওতায় শুধু ৫০ থেকে ৫১ বছর বয়সী পুলিশ সদস্যদের আনা হবে। বিখ্যাত আইপিএস অমিতাভ ঠাকুরও এই স্ক্রিনিং প্রক্রিয়ার অধীনে অবসর নিয়েছিলেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন নীচের লিংকে