সংক্ষিপ্ত
শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে জেনালের ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে এই খবরে স্বভাবতই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সুরেশ প্রেমীরা।
কেরলে সহজ পার্শ্ববর্তী রাজ্যে কার্যত সাপ ধরার রাজা হিসাবে পরিচিত ছিলেন ভাভা সুরেশ ( Kerala Snake Man)। সেই সুরেশকেই (Vava Suresh) কয়েকদিন দংশন করে বিষধর গোখরো সাপ। তারপর থেকে ভেন্টিলটরেই ছিলেন তিনি। এদিকে তারপরেই কেরলের বিভিন্ন খ্যাতনামা ব্যক্তিকেই সুরেশের আরোগ্য কামনায় বার্তা দিতে দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। এদিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ১৮ ঘণ্টা পর আপাতত ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন সুরেশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী গতকালই তাকে ভেল্টিলেটর থেকে সরানো হয়। বর্তমানে শুক্রবার তাকে আইসিইউ থেকে সরিয়ে জেনালের ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কথাও বলতে পারছেন। স্মৃতি শক্তিও ফিরেছে বলে জানা যাচ্ছে। মোটের উপর বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে এই খবরে স্বভাবতই স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন সুরেশ প্রেমীরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূল ঘটনাটি ঘটে সোমবার কেরলের কোট্টায়ামে। সেখানের কুরিচে এলাকায় একটি বিষধর গোখরোকে বশ মানিয়ে ব্যাগে ভরতে যাচ্ছিলেন সুরেশ। তখনই প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের সাপটি ভাভা সুরেশকে দংশন করে বলে খবর। তবে এই ঘটনা সুরেশের জীবনে নতুন নয়। এর আগে ২০২০ সালে তিরুঅনন্তপুরমে সাপের দংশনের জেরে ৫ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন ভাভা সুরেশ। সেইবার রাসেলস ভাইপারের দংশন শরীরে যায় ভাভার। লড়েছিলেন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা। এদিকে গোখরো ধরায় বরাবরই সিদ্ধহস্ত সুরেশ। এখনও পর্যন্ত তিনি প্রায় ১৭৫টি কিং কোবরাকে বশ মানিয়েছেন তিনি। তবে ২০০৫ সালে সুরেশ তাঁর একটি আঙুল খুইয়ে ফেলেন কোবরার কামড়ের জেরে।
আরও পড়ুন- সচেতন হলেই বাগে আনা যাবে মারণ ভাইরাসকে, করোনা নিয়ে ফের নতুন বার্তা মমতার
সহজ কথায়, কেরলের যে কোও প্রান্তে কোনও বিষধরের দেখা মিললেই ডাক পড়ে সুরেশের। তবে সাপ মারতে নয়, সুরেশ পছন্দ করেন সাপকে উদ্ধার করতে। তারপর তাদের নিরাপদে ছেড়ে দেওয়াই তাঁর প্রধান কাজ। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়েই এবারে চরম বিপদে পড়েন তিনি। যদিও বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনও পুরোপুরি কাটেনি বিপদের মেঘ। এমনটাই জানাচ্ছেন ডাক্তারেরা। এদিকে এর আগে বিষের প্রভাব কাটাতে একাধিক ওষুধ নিতে হয়েছে সুরেশকে। এমনকী শরীরের একাধিক জায়গায় তৈরি হয়েছে ভয়ানক ক্ষত। কিন্তু তারপরেও বারেবারেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে তিনি করে গিয়েছেন এই কাজ।
আরও পড়ুন- ভয় ধরাচ্ছে ওমিক্রনের নতুন রূপ, ফের কী বাড়বে সংক্রমণ, বাড়ছে উদ্বেগ