সংক্ষিপ্ত

  • রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন উমা ভারতী
  • সেই তিনিই ভূমি পুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না
  • আমন্ত্রণ পেয়েও করোনা সতর্কতায় সিদ্ধান্ত উমা ভারতীর
  • ভূমিপুজোর সময়ে সরযূর অন্য পাড়ে তিনি থাকবেন 

দীর্ঘ বহু বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে ভূমি পুজো হচ্ছে অযোধ্যার রাম মন্দিরের জন্য। কিন্তু সেখানেও করোনার করাল থাবা পড়েছে। আগেই অযোধ্যার ১৭ জন পুরোহিতের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তার মধ্যে রবিবারই জানা গিয়েছে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন খোদ দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আবার কেন্দ্রের ক্যাবিনেট বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিন কয়েক আগে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অ্যান্য মন্ত্রিরাও। আর এই আবহবে করোনা সংক্রমণের ভয়ে রাম মন্দিরের বহু প্রতিক্ষিত  ভূমি পুজোয় অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপির বর্ষীয়ান নেত্রী উমা ভারতী।

 

 

সোমবার সকালে এই ব্যাপারেই একাধিক টুইট করেন ভারতী। সেখানে তিনি জানান যে করোনার এই পরিস্থিতিতে অযোধ্যায় গিয়ে ভিড় বাড়ানোর কোনো মানে হয় না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় খবরেই নিজের দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: রাম মন্দিরের জন্য ২৮ বছর ধরে উপবাস, ৫ আগস্ট ব্রত ভাঙছেন ৮১ বছরের বৃদ্ধা

ট্যুইটে তিনি বলেন, “অমিত শাহ এবং বিজেপির অন্য অনেক নেতার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর যখন পেয়েছি তখন থেকেই অযোধ্যার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা বেড়েছে আমার, বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।”

উমা জানিয়েছেন, তিনি ট্রেনে ভোপাল থেকে উত্তরপ্রদেশ যাবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও মন্দিরে উপস্থিত সবার সুরক্ষার স্বার্থে তিনি অযোধ্যার অনুষ্ঠানে যাবেন না। ভূমি পূজনের সময় তিনি সরযূ নদীর তীরে অন্য অবস্থানে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু অযোধ্যার ভূমি পূজন উৎসব, শ্রীলঙ্কার মাটি ও দেশের ১৫১টি নদীর জল নিয়ে হাজির সত্তরোর্ধ দুই ভাই

তিনি ট্যুইটে লিখেছেন, 'আমি বিকেলে ভোপাল থেকে রওনা দেব। আর কাল অযোধ্যা পৌঁছনো পর্যন্ত সংক্রমিত হতে পারি। এই অবস্থায় যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অন্যান্যরা উপস্থিত থাকবেন, সেই জায়গা থেকে আমি দূরে থাকব। সবাই সেখান থেকে চলে গেলে তারপরই যাব।'

 

রামমন্দির আন্দোলনে এক সময়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন উমা ভারতী। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যে  তাই নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহেরও ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত বর্ষীয়াও এই বিজেপি নেত্রী।