সংক্ষিপ্ত
বেশি পাকিস্তানপন্থী হওয়ার শখ! পাকিস্তানের মতো ভিখারিও হবে বাংলাদেশ, পূর্বাভাস মুডিজ-এর
ভয়ঙ্কর মূদ্রাস্ফীতি বাংলাদেশে!শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল অন্তবর্তী সরকার। মহা সমস্যার মুখেপড়লেন মহম্মদ ইউনূস। পরিসংখ্যান বলছে ১৩ বছরের মধ্যে জুলাইতে আকাশ ছুঁয়েছে মুদ্রাস্ফীতির হার।
কোটা আন্দোলন ঘিরো তোলপাড় ছিল বাংলাদেশ। ছাত্র আন্দোলনে চরমে ওঠে দেশের কোণায় কোণায়। পুলিশ-আর্মি কড়া ব্যবস্থা নিলেও লাভ হয় না। শেষমেশ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।
বলতে গেলে এখন কোভিড ১৯ পরিস্থিতির মত অর্থনৈতিক হাল হয়েছে বাংলাদেশে। ফের মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে হুহু করে। ১১.৬ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। ১৩ বছরের মধ্য়ে সর্বোচ্চ এই হার। বেশ কিছু জায়গা থেকে তথ্য পাওয়া গিয়েছে যে, জুন মাসে খাদ্য মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯.৭২ শতাংশ। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে গিয়ে হয়েছে ১৪.১০ শতাংশ। সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের বিবিএস জুনে ৯.১৫ শতাংশ থেকে জুলাই মাসে বেড়ে ৯.৬৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে (জুলাই 2023-জুন 2024) দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৯.৭৩ শতাংশে বেড়ে গিয়েছে। যা সেই অর্থবছরের ৭.৫ শতাংশ বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। আগের ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.০২ শতাংশ। মুডি'স-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে হাসিনার বিদায় বাংলাদেশের অর্থনীতির ভয়ানক ক্ষতি করতে চলেছে বলেই আন্দাজ করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে মুডি'স-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, চলতি আর্থিক বছরে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৫.৪ শতাংশের মতো থাকবে। কিন্তু, সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে জিডিপি বৃদ্ধির হার আরও কমে ৫.১ শতাংশ হয়ে যেতে পারে। এই একই প্রতিবেদন বলছে, হাসিনার রাজত্বকালে ১৫ বছরে দুর্দান্ত গতিতে এগোচ্ছিল বাংলাদেশের অর্থনীতি। ২০১১ থেকে ২০১৯-এর মধ্যে একটানা ৬ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছিল জিডিপি।
তবে ২০১৬-র পর, দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার নেমে গিয়েছে ৬ শতাংশের নীচে। ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়। ২০২৪-র ছবিটা বেশ অনেকটাই বদলে গিয়েছে। কমে গিয়েছে, অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার, বাংলাদেশি টাকার দাম, মাথাপিছু আয়, বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ার। একই সঙ্গে বেড়েছিল মূল্যবৃদ্ধির হার এবং বেকারত্ব।
কোটা আন্দোলনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ দেশের কল-কারখানাগুলি। যদি আরও দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হয়, সেই ক্ষেত্রে কোভিডকালের মতোই রফতানি কমে যেতে পারে বাংলাদেশের, এমনটাই বলা হয়েছে মুডি'স প্রতিবেদনে।
সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের বক্তব্য, "দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডকে ঠিক পথে নিয়ে আসা এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় সাধারণ মানুষের আস্থা ফেরানোই এখন আমাদের লক্ষ্য। "
এইভাবে চলতে থাকলে যে বাংলাদেশের অবস্থা খুব তাড়াতাড়ি পাকিস্তানের মতো হবে তা আর বুঝতে বাকি নেই অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।