বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় দিবসের আগে অশান্তি ছড়ায়। পাকিস্তানের পতাকা আঁকায় বাধা দেওয়ার অভিযোগে শাখা ছাত্রদল মাঝরাতে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। রাতভর অবরোধ চলার পর ভোরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বিজয় দিবসে অশান্তি বাংলাদেশের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা এঁকে পদদলিত করতে চেয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মাঝরাতে উপাচার্যকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল শাখা ছাত্রদস। সোমবার রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। বিজস দিবসের প্রাক্কালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। রাতভর উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে রাখা হয়।
সূত্রের খবর, বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রধান গেটের সামনে পাকিস্তানের পতাকা আঁকা শুরু করে শাখা ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকারের কয়েকজন নেতা-কর্মী। তাঁরা ক্যাম্পাসের গেট গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাস বেরতে বাধা দিচ্ছিলেন। এই সময় প্রথমে প্রোক্টরিয়াল বডির সদস্য ও কয়েকজন শিক্ষার্থী এসে তাদের বাধা দেন। এনিয়ে পড়ুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা, হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ের শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদি হাসান হিমেল ও সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা রাতভর প্রধান ফটকে অবস্থান বিক্ষোভ করতে থাকে। উপাচার্যের গাড়ি অবরোধ করে। সারা রাত চলে এই অশান্তি। পরে ভোর ৫টার দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মী অবরোধ তুলে নিলে ক্যাম্পাস ছেড়ে যান উপাচার্য-সহ প্রোক্টরিয়াল বডির সদস্যরা।
ছাত্র দলের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, জুলাইয়ের পর আমরা মনে করেছিলাম, ভিন্ন মতকে প্রকাশ করতে পারবে। কিন্তু, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাকিস্তানের গণহত্যা ও আমাদের মা বোনের ওপর অত্যাচারের প্রতীকী প্রতিবাদের জন্য একজনের পর বাংলাদেশবিরোধী কিছু দালাল হামলা করেছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও স্বৈরাচার কিংবা মবতন্ত্র আত্মপ্রকাশ করতে পারবে না।
মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, বিজয়ের মাসে প্রতীকী প্রতিবাদে পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে প্রথমে প্রোক্টরিয়াল বডির দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়। পরে আস সুন্নাহ হলের কিছু শিক্ষার্থী সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।


