সংক্ষিপ্ত
বাংলাদেশে গত ২ মাসে মৌলবাদী শক্তির বাড়বাড়ন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। মৌলবাদীদের দাপটে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা কোণঠাসা। হিন্দুশূন্য হওয়ার পথে বাংলাদেশ।
'বাংলাদেশের জাতীয় শত্রু ভারত। তাই বাংলাদেশের হিন্দু নাগরিকদেরও ভারত-বিরোধী হতে হবে। এই কারণে মন্দিরে ভারত-বিরোধী ব্যানার ও স্লোগান রাখতে হবে।' দুর্গাপুজোর আগে এই ফতোয়া জারি করল বাংলাদেশের মৌলবাদী সংগঠন ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা। এই সংগঠনের 'ইনসাফ'-এর নমুনা বাংলাদেশের হিন্দুরা ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন। এই মৌলবাদী সংগঠনের দাবি, বাংলাদেশে যেহেতু হিন্দু জনসংখ্যা দুই শতাংশেরও কম, এই কারণে দুর্গাপুজোয় সরকারি ছুটি দেওয়া যাবে না। দুর্গাপুজোয় ছুটি দিলে নাকি সংখ্যাগুরু মুসলিমদের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। মৌলবাদীদের আরও দাবি, কোনও মুসলিম দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবে না। ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতার আরও দাবি, বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই মুসলিমদের জমি দখল করে মন্দির তৈরি করা হয়েছে। সেই জমিগুলি থেকে মন্দির সরিয়ে দিতে হবে।
১৬ দফা দাবি
ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-জনতা সংগঠন হিন্দু-বিরোধী ১৬ দফা দাবি পেশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে, রাস্তা বন্ধ করে কোথাও পুজো করা যাবে না। কোথাও প্রকাশ্যে মূর্তিপুজো করা যাবে না। প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে নদীর জল দূষিত করা যাবে না। বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে দুর্গাপুজোর জন্য যে টাকা দেওয়া হয়, সেটা নিয়েও আপত্তি জানিয়েছে মৌলবাদীরা। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর জলের রং আলকাতরার মতো। ঢাকার সদর ঘাটে গেলে দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চাপা দিতে হয়। ঢাকার সব আবর্জনা বুড়িগঙ্গায় গিয়ে জমা হয়। ফলে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের জন্য নদীর জল দূষিত হবে, এই যুক্তি ধোপে টিকছে না। বাংলাদেশে কোথাও রাস্তা আটকে পুজো করা হয় না। মন্দিরে বা মাঠে পুজো হয়। সেটা নিয়েও আপত্তি জানাচ্ছে মৌলবাদীরা।
উত্তরায় পুজো হবে?
ঢাকার উত্তরা অঞ্চলে মাঠে দুর্গাপুজোর বিরোধিতা করছে মৌলবাদীরা। তবে স্থানীয় হিন্দুদের দাবি, তাঁরা মাঠেই পুজো করবেন। এখন এটা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
বাংলাদেশের স্কুলে হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরা, কোরান মুখস্ত করার ফতোয়া, সাসপেন্ড প্রধান শিক্ষক