সংক্ষিপ্ত
মহা সপ্তমীর বিকেলে অনেক জায়গায় হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এমনই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়েছিল রহমতগঞ্জের জেএমন সেন হলে। সেখানে ছিলেন শাহাদত হোসেন ও বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর চট্টগ্রামের আমির শাহজাহান চৌধুরী। সেখানে হঠাৎ হাজির হন চট্টগ্রাম কালচারাল আকাদেমির সদস্যরা। হুমকি দেয়, তাঁদের গান গাইতে দিতে হবে না হলে পুজো বন্ধ করে দেবে। ছয়টি গান গায় তাঁর। তার মধ্যে একটি ছিল ‘শুধু মুসলমানের লাগি আসেনিকো ইসমাল।’
এভাবে বন্দন নগরী চট্টগ্রামের এক পুজো মণ্ডপে ঢুকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করল জামায়াতের একটি সংগঠন। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঢুকে বিধর্মীদের এমন দাদাগিরি ঘটনা ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যা দেখে ক্ষোভে ফুঁসতে শুরু করেছেন হিন্দু সম্প্রদায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আসরে নেমেছে খোদ চট্টোগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানুম। ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
কেন হিন্দুদের পুজো মণ্ডপে ঢুকে এমন ঘটনা ঘটাল তা নিয়ে ইঠেছে প্রশ্ন। চট্টগ্রাম কালচারাল আকাদেমির সভাপতি সেলিম জামান এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুটো গান পরিবেশন করা হয়েছে, দুটোই সম্প্রীতির সঙ্গীত। কেউ কেউ ভিডিও এডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।
ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান রিউমান স্ক্যানার তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, পুজোমণ্ডপে গানের ভিডিওটি আসল। বিষয়টি নিয়ে শোরগোল পড়েছে সর্বত্র। জানা গিয়েছে, এমন ঘটনা যারা ঘটিয়েছেন তাদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। আপাতত এই ভিডিও নিয়ে চলছে বিভ্রাট। কেন এমন ঘটনা ঘটল প্রশ্ন তুলেছে সর্বত্র।