সংক্ষিপ্ত
জয় উজ্জাপনে মেতে উঠেছে তালিবানরা। শূন্যে গুলি ছুঁড়ে আনন্দের প্রকাশ করছে তালিবানরা। তাতে কমপক্ষে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্জশিরের দখল এখনও তালিবানদের হাতে এসেছে কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কিন্তু তার আগেই জয়ের আনন্দে মত্ত তালিবানরা, তালিবানি কায়দায় মেতে উঠেছে জয় উজ্জাপন করতে। তালিবানদের এই আনন্দই অন্যের কারণ হয়ে দাঁড়িয়ে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্টের খবর অনুযায়ী কাবুলে তালিবানদের গানফায়ারে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ১৭ জন সাধারণ নাগরিকের। এই ঘটনায় আহতের সংখ্যা ৪০। যদিও তালিবানদের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
সেপ্টেম্বরে মার্কিন সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা বাইডেনের সঙ্গে
Shocking Video: তালিবান ভয়ে আফগান ছাড়ার চেষ্টা, পাক সীমান্ত পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু
ভারতীয় মুসলমানদের কড়া সমালোচনা নাসিরুদ্দিনের, তালিবান ইস্যুতে সতর্ক করলেন অভিনেতা
আফগানিস্তানের শাসশাদ সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে শুক্রবার কাবুলে বিমান হামলায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪১। প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদের একটি হাসপাতালের মুখপাত্র গুলজাদা সাংগার বলেন রাজধানীর পূর্ব নানগারহার প্রদেশে তালিবানরা যখন জয় উজ্জাপন করছিল তখন গানফায়ার করে। সেই সময় ১৪ জন আহত হয়েছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে শূন্যে গুলিছোঁড়া থেকে বিরত থাকতে বলেছেন তিনি। তিনি আরও বলেছেন এই জাতীয় ঘটনা স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষতি করতে পারে। তাই আকারণে বা অপ্রয়োজনে গুলি না চালাতেই নির্দেশ দিয়েছেন।
তালিবানদের একটি সূত্র বলছে পঞ্জশির দখল করতে সমর্থ হয়েছে তারা। কিন্তু অন্য পঞ্জশিরের স্থানীয় নেতারা একথা মানতে নারাজ। তারা জানিয়েছে তালিবানদের বিরুদ্ধে এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় যোদ্ধারা। অন্যদিকে কাবুল দখলের পর ১৫ দিনেরও বেশি সময় কেটে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার গঠন করতে পারেনি তালিবানরা। দফায় দফায় আলোচনা হচ্ছে। দিনও পিছিয়ে যাচ্ছেন। আগে জানান হয়েছিল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর তালিবানরা সরকার গঠন ও নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করবে। কিন্তু গতকালই জানিয়ে দেওয়া হয় শনিবার গঠন করা হবে সরকার। একটি সূত্র বলছে তালিবান ও তাদের সহযোগিদের সঙ্গে দায়িত্ব ভাগ নিয়ে দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে তালিবানদের দ্বিতীয় নেতা মোল্লা আব্দুল গানি বরাদরকে। তবে সরকারের যে মাথা হবেন তালিবান সুপ্রিম হিবাতুল্লা আখুন্দাজাদা তাতে কোনও বিতর্ক নেই। তবে এখনও পর্যন্ত তাকে সামনে আনেনি তালিবানরা। তাই তার উপস্থিতি নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।