সংক্ষিপ্ত
অন্যন্য আগ্নেয়গুরির থেকে এটি সম্পূর্ণ অন্যধরনের। কারণ এটি ভূপৃষ্ঠ আগ্নেয়গিরি। কোনও পাহাড় বা টিলা থেকে তৈরি হওয়া আগ্নেয় গহ্বর নয়। মৃত এই আগ্নেগিরিটি দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভূপৃষ্টের ওপরে রয়েছে একটি ফুটো।
শতাব্দী প্রাচীন রহস্য ভেদের পথে ইয়েমেন ( Yemen) । বারহাউটে (Barhout) একটি আগ্নেয়গিরির গহ্বর ঘিরে তৈরি বহু দিন আগে থেকেই তৈরি হয়েছিল রহস্য। তৈরি হয়েছিল কল্পকথা। একাধিক লোকগাথাও ইয়েমেনের বাসিন্দাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল গুহাকে কেন্দ্র করে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে গিয়েছিল নরককূপ (Well of Hell)বা ভূতের গুহা বা ভূতুড়ে কারাগারের আতঙ্ক। কিন্তু সেই গহ্বরের একদম শেষপ্রান্তে এই প্রথম মানুষের পা পড়ল। পর্দা উঠেছে শতাব্দী প্রাচীন রহস্যের। অনুসন্ধানকারীরা জানিয়েছেন তাঁরা অপ্রাকৃতিক কিছু দেখতে পাননি। তবে এই অভিযান অনেক ইয়েমেনবাসী খুব ভালোচেখে নেয়নি। তাঁদের আতঙ্ক খারাপ আত্মরা রেগে যেতেই পারে।
অন্যন্য আগ্নেয়গুরির থেকে এটি সম্পূর্ণ অন্যধরনের। কারণ এটি ভূপৃষ্ঠ আগ্নেয়গিরি। কোনও পাহাড় বা টিলা থেকে তৈরি হওয়া আগ্নেয় গহ্বর নয়। মৃত এই আগ্নেগিরিটি দূর থেকে দেখলে মনে হবে ভূপৃষ্টের ওপরে রয়েছে একটি ফুটো। তাই এটি ঘিরে তৈরি হয়েছিল নানান গল্প। একগুচ্ছ কল্পপথা ঘুরে ফিরে বেড়াত ইয়েমেন। প্রথমবারের মত সেই সিঙ্কহোলের তলদেশে নেমেছে মানুষ। সেই অতল গহ্বরে রয়েছে মৃত প্রাণী, সাপ আর জলের চিহ্ন। অনুসন্ধানীরা জানিয়েছেন জলের ফোঁটা দিয়ে তৈরি প্রাকৃতিক গঠনও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা নিশ্চিত করেছেন গুহার মধ্যে অপ্রাকৃত কোনও বস্তু বা কোনও চিহ্ন তারা দেখতে পাননি। এই গুহাটি দীর্ঘ দিন ধরেই ওয়েল অব হেল বা নরককূপ নামে পরিচিত।
Central Vista: হঠাৎ নতুন সংসদভবনের নির্মাণস্থলে হাজির প্রধানমন্ত্রী মোদী, খতিয়ে দেখলেন কাজকর্ম
আবারও কি ঘর ভাঙছে বিজেপির, কুণালের টুইটের উত্তরে লকেটের মন্তব্যে উঠেছে তেমনই প্রশ্ন
ইয়েমেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আল মাহরার মরুভূমিতে রয়েছে এই নরককূপ। যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১২ মিটার পর্যন্ত গভীর। গুহার মুখটির ব্যাস ৩০ মিটার। ওমান কেভ এক্সপ্লোরেশন টিম সদস্যরা গুহায় নেমেছেন। তাঁর জানিয়েছেন সাপ, মৃত প্রাণী আর মুক্ত তাঁরা দেখতে পেয়েছেন গুহার ভিতরে। ওমানের জার্মান ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির ভূতত্বের অধ্যাপক মহম্মদ আল কিন্দি জানিয়েছেন সেখান সাপ ছিল। কিন্তু সেগুলি কাউকে সামান্যতম বিরক্ত করেনি। আট অভিজ্ঞ গুপ্তচরের সঙ্গে দুই বিশেষজ্ঞ এই গুহায় নেমেছিলেন। তাদের দলে তিনিও ছিলেন। তাঁরা পরীক্ষার জন্য জল, পাথর, মাটি ও কিছু প্রাণীর দেহের নমুমাও সংগ্রহ করেছেন। সেখানে মৃত পাখির দেহাংশও রয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। গুহার ভিরতে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে ছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ঘটনাটির ফুটেজ বিশ্লেষণের কাজ শুরু করেছে অনুসন্ধারকারীরা, গুহার গঠন নিয়ে রীতিমত পরীক্ষা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। গুহাটির ভিরতের রঙ ধুসর। চুনা পাথরের তৈরি। অনেক জায়গায় শ্যাওলা জমে সবুজ রঙ হয়ে গেছে। সন্ধান পাওয়া গেছে মুক্তোর। এটি জলের ফোঁটা দিয়ে তৈরি। গুহায় প্রবেশকারী স্থানীয় বিজনেজ টাইকুন কিন্দি বলেছেন, এই অভিযান ঘিরে তাঁদের আবেগ ছিল তুঙ্গে।এই গুহা ইয়েমেনের ইতিহাস বদলে দিতে পারে বলেও আশা করেছিলেন তাঁরা।