সংক্ষিপ্ত

জোটের শরিকদের ছাড়া পাক সংসদের নিম্ন কক্ষে ১৫৫টি আসন রয়েছে। তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন।  

ঘোর বিপাকে ইমরান খান। ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান  তেহরিক ই ইনসাফ অর্থাৎ সেদেশের শাসক দল পিটিআইয়ের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা (Several lawmakers) ইতিমধ্যেই সমর্থন তুলে নিয়েছেন (withdraw support)। ফলে যে কোনও মুহুর্তে পতন ঘটতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (govt in danger), সেইসঙ্গে পাকিস্তানের বর্তমান সরকারও এখন ঝুঁকির মুখে। কার্যত অনাস্থা প্রস্তাবের কাঁটায় বিদ্ধ ইমরান খান সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে জোট সরকার চালাচ্ছে দলটি। তাঁর প্রধান তিন জোটসঙ্গী মন্ত্রিসভা থেকে দ্রুত পদত্যাগ করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল বলে খবর। আর তা হলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানো ইমরান সরকারের জন্য শুধু সময়ের অপেক্ষা। 

আরও পড়ুন- ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখার জন্য মিলবে অর্ধ-দিবস ছুটি, বড় ঘোষণা অসমে

আরও পড়ুন- জনবহুল রাস্তায় ছুটছে জ্বলন্ত ট্রাক, পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল চালক-খালাসি

আরও পড়ুন- বাংলায় জোটে নেই আপ-তৃণমূল, বাংলায় মাটি শক্ত করতেই জোরালো দাবি আম-আদমি পার্টির নেত্রীর

বিরোধীরা দেশ, অর্থনীতি ও বিদেশনীতির ব্যর্থতার জন্য ইমরান খানকেই দায়ী করছে। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের কোনো প্রধানমন্ত্রী তার মেয়াদ পূর্ণ করেননি। গত সপ্তাহে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার পর ভোট হতে পারে এই মাসেই। ফলে ক্রমশ রাজনৈতিক অস্থিরতার হুমকি বাড়ছে। তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, "আমরা পরিষ্কার যে আমাদের সরকারকে বাঁচাতে আমরা কোনো ব্ল্যাকমেলিংয়ে পা রাখব না। আমরা টার্নকোটের এই সংস্কৃতি প্রত্যাখ্যান করছি।"

জোটের শরিকদের ছাড়া পাক সংসদের নিম্ন কক্ষে ১৫৫টি আসন রয়েছে। তবে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ১৭২টি আসন।  যৌথ বিরোধী দলগুলি যথাক্রমে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এবং বেনজির ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এর মতো প্রধান দল নিয়ে গঠিত। তাদের হাতে আসন সংখ্যা প্রায় ১৬৩। 

বিরোধী এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে ইমরান পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সমর্থন পেতেই ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে নিজের জমি পাকা করতে পারেননি। মাস কয়েক আগেই রিপোর্ট মিলেছিল যে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (Pakistan Tareek-e-Insaf) অর্থাৎ সেদেশের শাসক দল পিটিআইয়ের (PTI) এক সদস্যের তরফ থেকে দাবি উঠেছে পাক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের। পিটিআইয়ের এক সদস্য বলছেন পদত্যাগ করা উচিত পাক প্রধানমন্ত্রীর। কারণ তিনি ব্যর্থ নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণে। ইসলামাবাদে পিটিআইয়ের এক মিছিলে ওই সক্রিয় সদস্য দাবি করেছে ইমরান খানের এখন পদত্যাগ করা উচিত। ওই মিছিলে ছিলেন পাক মন্ত্রী আসাদ উমর, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আলি নওয়াজ আওয়ান ও রাজা খুররাম শেহজাদ। 

ওই যুবককে বলতে শোনা যায় যে ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী না থাকলে কোনও অসুবিধা হবে না, বরং দেশের ভালো হবে। অবশ্য এটাই প্রথম নয়। এর আগেও ইমরান খানের পদত্যাগের দাবি তুলেছিল পাক মিডিয়া। একটি প্রথমসারির সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে পরিষ্কার ভাষায় লেখা হয় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের দায়িত্ব পালনে ও প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। তাঁর আমলে পাকিস্তান ধীরে ধীরে নিজের ভবিষ্যতও হারিয়ে ফেলছে। সম্পাদকীয়তে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে "পাকিস্তানের গর্বাচেভ" বলে অভিহিত করে।