সংক্ষিপ্ত
টোকিওতে সফররত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদার মধ্যে আলোচনার পর ভারত ও জাপান শীঘ্রই তাদের প্রথম বিমান-যুদ্ধ মহড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত-জাপান ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার আগে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে ৯০ মিনিটের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর শুক্রবার টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ভারত-জাপান অংশীদারিত্বের তাত্পর্য তুলে ধরা হয় ভারতের তরফে। বৃহস্পতিবার জাপানের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ভারত-জাপান ২+২ বিদেশী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পর সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়।
বৈঠকের পরে টুইট করেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন “টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সাথে দেখা করে আনন্দিত বোধ করছি। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দুঃখজনক মৃত্যুতে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই। এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ভারত-জাপান অংশীদারিত্ব একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও একটি জটিল বিশ্ব পরিস্থিতির পটভূমিতে ভারত ও জাপানের নীতি ও স্বার্থের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিদেশ মন্ত্রী টুইট করেছেন, "আস্থা প্রকাশ করছি যে ফুমিও কিশিদা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন তা তাড়াতাড়ি বাস্তবায়িত হবে।"
টোকিওতে সফররত ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদার মধ্যে আলোচনার পর ভারত ও জাপান শীঘ্রই তাদের প্রথম বিমান-যুদ্ধ মহড়া করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারত-জাপান ২+২ মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনার আগে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সদর দফতরে ৯০ মিনিটের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
জাপান-ভারত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে যৌথ মহড়ায় একসঙ্গে কাজ করার জন্য দুই সামরিক বাহিনীর সক্ষমতার উন্নতিকে স্বাগত জানানো হয়েছে। দুই দেশের মন্ত্রীই জাপান-ভারত অধিগ্রহণ এবং ক্রস-সার্ভিসিং চুক্তি বা ACSA-এর ব্যবহারেরও প্রশংসা করেছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে দুই সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি জাপানের প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সরবরাহ এবং পরিষেবাগুলি পরিচালনার নিয়ম প্রতিষ্ঠা করে।
জাপান সফররত ভারতীয় মন্ত্রীরা বৃহস্পতিবার আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলী, দ্বিপাক্ষিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং সমমনা দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর জাপানে সম্ভাব্য ভবিষ্যতের সফরের কথা মাথায় রেখে আলোচনা এগিয়েছে।
ভারত ও জাপান ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের আগ্রাসী ও সম্প্রসারণবাদী মনোভাবের উপর কড়া নজর রাখছে। এ কারণেই শিগগিরই প্রথমবারের মতো বাতাসে গর্জন করবে দুই দেশ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও বৃহস্পতিবার তার জাপানি প্রতিপক্ষ ইয়াসুকাজু হামাদার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করেন। উভয় দেশই প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব আরও বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছে।
দুই দেশের মন্ত্রীরাই আশাবাদী যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার হবে। দুই দেশ যৌথভাবে একটি অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করবে। ভারত ও জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা শুধুমাত্র যৌথ বিমান যুদ্ধ মহড়ায় সম্মত হননি বরং শীঘ্রই এটি শুরু ও নিয়মিত করার ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন-
বাবার আদরের লিলিবেথ থেকে কীভাবে ব্রিটেনের রাজরানি হয়ে গেলেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ?
মা কেন ‘অশুচি’? লালবাগান সার্বজনীনে এবছর একেবারে ভিন্ন রূপে দুর্গার উপাখ্যান
গুটিকয়েক বন্ধু মিলে শুরু হয়েছিল পুজো, হাটখোলা গোঁসাইপাড়ার দুর্গা আরাধনার ‘যাত্রাপথ’ এবছর পা দিচ্ছে ৮৬ বছরে