সংক্ষিপ্ত
- করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে এবার আশার আলো দেখাল ইতালি
- গবেষকদের দাবি পরীক্ষার শেষ ধাপে রয়েছে ভ্যাকসিন
- ইঁদুরের শরীরে এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে
- আশা করা হচ্ছে চলতি গ্রীষ্মের পরেই ব্যবহারে ছাড়পত্র মিলবে
বিশ্বে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে তা ৩৭ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। যেকোন মূল্যে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে মরিয়া সব দেশই। চলতি বছরের শেষেই মার্কিন মুলুকে করোনার ভ্যাকসিন মিলবে বলে দেশবাসীকে আশার আলো দেখিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইতিমধ্যে মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগও শুরু করেছেন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে চলতি বছর সেপ্টেম্বরেই এই ভ্যাকসিন ব্রিটেনবাসীর কাছে চলে আসবে বলেই আশা বিজ্ঞানীদের। এর মধ্যেই বিশ্ববাসীকে ভাল খবর শোনাল ইতালি। মানুষের উপর প্রয়োগ করার জন্যে প্ৰথম সফল করোনা ভ্যাকসিন বানিয়ে ফেলেছেন দেশের বিজ্ঞানীরা, এবার এমন দাবিই করল ইতালি।
রোমের স্পালানজানি হাসপাতালে সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করেছেন। ইতালিয় এই ভ্যাকসিনের অ্যান্টিবডি ইঁদুরের শরীরে প্রয়োগ করে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে। মানুষের শরীরেও এই প্রতিষেধক কাজ করবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা। সায়েন্স টাইমস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এনমনটাই দাবি করছেন ইতালিয় বিজ্ঞানীরা।
লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হল ২৯ মে পর্যন্ত, ১৪৪ ধারা জারি থাকবে চলতি মাসের শেষপর্যন্ত
দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ হাজার ছাড়াল, মোবাইলে আরোগ্য সেতু না থাকলেই এবার শাস্তি
খিদের জ্বালায় কাঁদছে ৮ সন্তান, ভোলাতে পাথর রান্না করলেন অসহায় মা
ইতালির যে সংস্থা এই ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করছে, সেই তাকিস-এর এক শীর্ষকর্তা লুইগি আরিসিচিও জানান, এখনও পর্যন্ত এটিই হল ইতালিতে তৈরি হওয়া কোনও ভ্যাকসিনের সবচেয়ে উন্নত পর্যায়ের পরীক্ষা। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, সম্ভবত এক-দুমাসরে মধ্য়েই মানুষের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে দেখা হবে। গবেষকদের দাবি, পরীক্ষার পন্থা হিসেবে ইঁদুরের শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে প্রশ্নাতীত সাফল্য মেলে। একবার ভ্যাকসিনেশনের পরেই ইঁদুরের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হতে শুরু করে। পরে, ভাইরাস ঢোকানো হলে, ওই অ্যান্টিবডি রুখে দেয় ভাইরাসকে।
মোট পাঁচ ধরনের ভ্যাকসিন কম্বিনেশন নিয়ে পরীক্ষা চালানো হয়। গবেষকদের দাবি, প্রত্যেকটিই বিপুল পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। তবে, সেরা দুই কম্বিনেশন নিয়ে এগিয়ে চলেছেন গবেষকরা। এই ভ্যাকসিনগুলির ডিএনএ-নির্ভর। ইতালিয় গবেষকদলটি মনে করছে, ভ্যাকসিনটি এই গ্রীষ্মের পরেই ব্যবহার করার ছাড়পত্র পাওয়া যাবে।
চিনের পর ইতালিতেই সবচেয়ে ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে , যে হারে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছিল, সেই হারে এখন আর এখন আর সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে না। আপাতত কমের দিকে সেদেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। পাশাপাশি ইতালিতে করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হারও কমছে। বর্তমানে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ১৩ হাজারের কিছু বেশি। মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজারের বেশি মানুষের।