সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বৈঠক করার সবচেয়ে পছন্দের জায়গাই টার্গেট হল জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাবের। সোমালিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাল সন্ত্রাসবাদীরা।
জঙ্গি হামলায় বারবার রক্তাক্ত পূর্ব আফ্রিকার দেশ সোমালিয়া। একদিকে খাদ্যসঙ্কটে জর্জরিত গোটা দেশ। বারবার সাহায্য প্রার্থনা করছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, শুক্রবার রাজধানী মোগাদিশুর বিলাসবহুল হোটেলে মর্মান্তিক হামলা চালাল জঙ্গিরা। হামলার দায় স্বীকার করেছে পশ্চিম আফ্রিকায় আল কায়দার অন্তর্গত ইসলাম কট্টরপন্থী কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন আল শাবাব। হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন সোমালিয়ার রাষ্ট্রপতি হাসান শেখ মহামুদ।
শুক্রবার হোটেলের মধ্যে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে আল-শাবাব গোষ্ঠীর জঙ্গিরা। হোটেলের বাইরে ঘটানো হয় গাড়ি বিস্ফোরণও। সেখানেই তৎক্ষণাৎ প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন। গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা মোগাদিশু প্রশাসনের। হামলার সময় হোটেলে সোমালিয়ার সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মিটিং চলছিল, হামলায় পদস্থ কর্তাও জখম হয়েছেন বলে খবর।
জঙ্গি হানার খবর পেয়ে হোটেল ঘিরে ফেলে সোমালিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী। সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। সারা বিশ্বে খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও দু’পক্ষের গুলি বিনিময় এখনও চলছে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। এই ঘটনার ধাঁচ ভারতীয়দের মনে ফিরিয়ে এনেছে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার ভয়ঙ্কর স্মৃতি। একই ধাঁচে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিশুর কাছাকাছি অবস্থিত অভিজাত হায়াত হোটেলে হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। কেন্দ্রীয় সরকারের রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সরকারের শীর্ষ আধিকারিকদের বৈঠক করার সবচেয়ে পছন্দের জায়গাই টার্গেট হল জঙ্গিগোষ্ঠী আল শাবাবের। হোটেলের ভিতর থেকে অধিকাংশ অতিথি এবং কর্মীদের নিরাপদে বার করে আনা গিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
প্রথমে বিস্ফোরক বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে হোটেলের সামনে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা। এরপর এলোপাথাড়ি গুলি করতে করতে সম্পূর্ণ হোটেলটারই দখল নিয়ে নেয় তারা। পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী গোটা হোটেল ঘিরে ফিরলে একের পর এক গ্রেনেড ছুড়তে থাকে জঙ্গিরা। ফলে হোটেলের বিভিন্ন অংশে আগুন লেগে যায়। হোটেল থেকে গলগল করে বের হতে থাকে কালো ধোঁয়া। হোটেলের ভেতরেই উপরের তলাগুলিতে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন মোগাদিশুর পুলিশ বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, সম্ভবত তাঁরা প্রত্যেকেই নিরীহ মানুষ। বহু মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শেষ পাওয়া আপডেট অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়ে হোটেলের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সব জঙ্গি নিহত। এখনও পর্যন্ত ৭ জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা গেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিরুদ্ধে জঙ্গি হামলার ছক, উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত যুবক
আসামে আল-কায়দা জঙ্গিগোষ্ঠীর মডিউল, ১১ জনের গ্রেফতার নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
STF-এর জালে দুই আল-কায়দা জঙ্গি, ১৪ দিনের পুলিসি হেফাজত