Pakistan Flash Flood: পাকিস্তানে ফের হঠাৎ বিপর্যয়! আকস্মিক বন্যায় প্রাণ হারালেন ৪৯ জন। আটকে পড়েছে বহু মানুষ। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…
Pakistan Flash Flood: পাকিস্তান আর বিপত্তি! দুটোই যেন সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাহবাজের দেশে। কারণ, এই ভূমিকম্প, বিস্ফোরণ আর এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত পাকিস্তান। একটানা অতিভারী বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানে। যারফলে এখনও পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে প্রচুর। সূত্রের খবর, জুন মাসের ২৬ তারিখের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে পাকিস্তানে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬০ জন। যাদের মধ্যে বেশিরভাগ হল মহিলা এবং শিশু।
এদিকে, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে হওয়া আকস্মিক বন্যায় উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তান এবং সেদেশের অন্যান্য অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় কমপক্ষে ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাক সরকারের উচ্চ পদস্থ এক আধিকারিকদের তরফে শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভূমিধসে একটি পাহাড়ি জেলা থেকে ১,৩০০ জন আটকা পড়া পর্যটককে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। দুই প্রদেশের ভিন্ন ভিন্ন ঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৭ জন। গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের সরকারি মুখপাত্র ফয়জুল্লাহ ফারাক জানান, বৃহস্পতিবার গাজার জেলায় আকস্মিক বন্যায় ভেসে গিয়ে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বাজাউর জেলায় বৃহস্পতিবার প্রবল মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় মহিলা ও শিশুসহ আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মী আমজাদ খান। তিনি আরও বলেন, ''এই ঘটনায় আরও ১৭ জন ভেসে গেছেন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকাজ চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।''
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা বাটগ্রামেও আকস্মিক বন্যা আঘাত হেনেছে, এতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি কর্তা সেলিম খান। তিনি বলেন, ‘’এখনও ১৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।'' এদিকে, রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মতে, পাকি অধিকৃত কাশ্মীরে বৃহস্পতিবার বৃষ্টি সহ পৃথক ঘটনায় আরও সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক জরুরি পরিষেবা মুখপাত্র বিলাল ফাইজি বলেন, ‘’বৃহস্পতিবার মনসেহরা জেলার সিরান উপত্যকায় আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের কারণে আটকা পড়া ১৩০০ পর্যটককে বাঁচাতে উদ্ধারকর্মীরা ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করেছেন।''
এদিকে গত জুলাই মাস থেকে গিলগিট-বালতিস্তানে একাধিকবার বন্যা হয়েছে। যার ফলে কারাকোরাম জাতীয় সড়কে ভূমিধস তৈরি হয়েছে। এই রাস্তাটি পাকিস্তান ও চিনের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য ও ভ্রমণ পথ। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এক বিবৃতিতে ক্ষয়ক্ষতির জন্য গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং কর্তৃপক্ষকে বন্যা-আক্রান্ত এলাকায় উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ দ্রুত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়, গিলগিট-বালতিস্তানে হিমবাহও রয়েছে, যা পাকিস্তানের সঞ্চিত জল সরবরাহের ৭৫% সরবরাহ করে। পাকিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা উত্তরাঞ্চলে হিমবাহ হ্রদ বিস্ফোরণ বন্যার (GLOF) জন্য নতুন সতর্কতা জারি করেছে, এবং ভ্রমণকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা এড়িয়ে চলতে সতর্ক করেছে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


