Pakistan News: পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকে সংঘর্ষ বনাম পাল্টা সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভারত-পাক রাজনীতি। যদিও পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের ব্যাপারে নাক গলাতে রাজি নয়

Pakistan News: পহেলগাঁওয়ে হামলার পর থেকে সংঘর্ষ বনাম পাল্টা সংঘর্ষে উত্তপ্ত ভারত-পাক রাজনীতি। যদিও পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের ব্যাপারে নাক গলাতে একেবারেই যে ইচ্ছুক নয় আমেরিকা সে ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগেই এক সাক্ষাৎকারে বার্তা দিয়েছিলেন মার্কিন উপ রাষ্ট্রপতি জে.ডি ভ্যান্স। কিন্তু তারপরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত-পাক সংঘর্ষ বিরতি নিয়ে বার্তায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক মহলে।

কেন ভারত-পাক যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা (America on India-Pak War Tension):-

সরকারি সূত্রে খবর, ভারত-পাক উত্তেজনায় ভারতের পরবর্তী লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের পরমাণু ঘাঁটি। কারণ, ভারতের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার আশঙ্কা থেকেই আমেরিকার (America News) সঙ্গে যোগাযোগ করে পাকিস্তান। তার পরই আমেরিকার হস্তক্ষেপে সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয় ভারত-পাকিস্তান। যদিও তারপরও থেমে থাকেনি পাকিস্তান। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লাগাতার হামলা চালিয়ে গিয়েছে।

আমেরিকার তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, যেন হটলাইন ব্যবহার করে ভারতকে যুদ্ধব বিরতির জন্য জানানো হয়। এরপরই পাকিস্তানের ডিজিএম কাসিফ আবদুল্লা ভারতের লেফটেন্যান্ট রাজীব ঘাইকে ফোন করেন ভারতীয় সময় ৩টে ৩৫ নাগাদ। পাকিস্তানের তরফে আসে সংঘর্ষ বিরতির প্রস্তাব। তারপরই বিকেলে বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি সাংবাদিক বৈঠক করে পাকিস্তানের সংঘর্ষ বিরতির কথা জানান। 

অন্যদিকে, ভারত-পাক যুদ্ধের আবহে সামরিক উত্তেজনার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে মন্তব্য করে ট্রাম্প উভয় দেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, “আমি ভারত ও পাকিস্তানের শক্তিশালী এবং অটলভাবে শক্তিশালী নেতৃত্বের জন্য খুব গর্বিত... লক্ষ লক্ষ ভালো এবং নিরপরাধ মানুষ মারা যেতে পারত!” পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ মার্কিন রাষ্ট্রপতির মধ্যস্থতার প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং ট্রাম্পকে হস্তক্ষেপের জন্য তার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

Scroll to load tweet…

ভারত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, স্পষ্ট করে দিয়েছে যে আলোচনার টেবিলে একমাত্র বিষয় হল পাকিস্তানের অবৈধভাবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে দখলকৃত অঞ্চল ফিরে পাওয়া।

তবে সরকারি সূত্রগুলি স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে ভারত এই বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের কোনও ভূমিকা দেখছে না। "কাশ্মীরের বিষয়ে আমাদের একটি খুব স্পষ্ট অবস্থান রয়েছে, কেবল একটি বিষয় বাকি আছে - পাক-অধিকৃত কাশ্মীর (পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে) ফিরে আসা। আর কোনও কথা বলার নেই। যদি তারা সন্ত্রাসীদের হস্তান্তরের কথা বলে, আমরা কথা বলতে পারি। আমরা চাই না কেউ মধ্যস্থতা করুক। আমাদের কারও মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।" ভারতের অবস্থান হল যে সমগ্র জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

Scroll to load tweet…

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।