Israel on Pakistan: পাকিস্তানে এবার হামলা চালানোর ছক কষছে ইজরায়েল! সে দেশের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Israel on Pakistan: ইরানের পর এবার নজরে শাহবাজের দেশ! ইজরায়েলের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে তেমনই ইঙ্গিতই স্পষ্ট। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রাক্তন

উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন যে, ''আমরা ইরান পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছি। এবার পাকিস্তানের পরমাণু বোমাগুলি ধ্বংস করতে।'' সদ্য ইরানের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। তারই মধ্যে ইজরায়েলের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যে ছড়িয়েছে শোরগোল।

এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, ইজরায়েলের প্রাক্তন উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী মেইর মাসারির এই মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই ইসলামাবাদজুড়ে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। ঘটনায় শিউরিত পাক প্রধানমন্ত্রী তড়িঘড়ি জরুরি নিরাপত্তা বৈঠক ডাকেন। গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, ইজরায়েলের নজর এবার পাকিস্তানের ইসলামিক বোমার উপরে।

হঠাৎ কেন পাকিস্তানের পারমাণবিক ঘাঁটিতে নজর পড়ল ইজরায়েলের?

সূত্রের খবর, ইজরায়েলের মতে পাকিস্তান ও ইরান হল এমন দুটি দেশ যারা সরাসরি সন্ত্রাসবাদে মদত দেয় ও জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। আর এই অভিযোগে বারবারই তারা অভিযুক্ত হয়ে আসছে। এছাড়াও পাকিস্তান কখনই ইজরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। বরং বরাবরই তারা প্যালেস্টাইনের পাশে থেকে এসেছে। এই বিষয়ে ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বহু আগেই সতর্ক করে বলেছিলেন যে, ''যে ইসলামিক দেশগুলি সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত, তাদের কাছে পারমাণবিক বোম থাকা মানেই ইজরায়েলের জন্য তা অস্তিত্ব সঙ্কটের কারণ।''

এই বিষয়ে ইজরায়েলের অতীত ইতিহাস বলছে, তারা শত্রু দেশে পরমাণু কর্মসূচি কখনই মেনে নেয়নি। ১৯৮১ সালে ইরাকের ওসিরায় পারমাণবিক অস্ত্রঘাঁটি ধ্বংস করে 'অপারেশন অপেরা'। ২০০৭ সালে সিরিয়ায় পরমাণু ঘাঁটিতে সফল বোমাবর্ষণ। ২০২৫ সালের জুন মাসে শুরু হওয়া ইরানের বিরুদ্ধে অপারেশন রাইজিং লায়নের ধারাবাহিকতা প্রমাণ করে দেয় এবার পাকভূমের দিকেও নজর দিচ্ছে তেল আভিভ।

জানা গিয়েছে, ১৯৭১ এর যুদ্ধে বাংলাদেশের কাছে পরাজয়ের পর পাকিস্তান পুরোদমে পরমাণু বোমা তৈরির দিকে এগোয়। সেই সময় জুলফিকার আলি ভুট্টো ঘোষণা করেছিলেন, ''আমরা একটি ইসলামিক পরমাণু বোমা তৈরি করছি, যা সারাবিশ্বে মুসলিম দুনিয়ার সম্পদ। এই ঘোষণার পরই ভারত ও ইজরায়েল যৌথ উদ্যোগে পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলা চালানেোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। ১৯৮০ সালের দিকে। যদিও সেই অভিযান শেষ পর্যন্ত হয়নি। বর্তমানে পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রগুলি পাঞ্জাব প্রদেশ ও বালোচিস্তানে মজুত রয়েছে। যা ইজরায়েলের যুদ্ধ বিমানের নাগালের মধ্যেই বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

যদিও ইজরায়েলের এই হুমকি নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা জানাচ্ছেন যে, পাকিস্তানের হামলা চালানো মোটেও সহজ হবে না ইজরায়েলের কাছে। কারণ, পাকিস্তান এখন সম্পূর্ণ পরমাণু শক্তিধর একটি রাষ্ট্র। এখানে একবার হামলা হলে তা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, পাকিস্তান বহুবার আমেরিকার মিত্র হিসেবে থেকেছে। ফলে ইজরায়েলের একতরফা এই হামলা ওয়াশিংটনের স্বার্থেও আঘাত হানতে পারে। ফলে এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার ভূমিকাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।