সংক্ষিপ্ত

আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন এবং তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে এই মাসুদ আজহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলেও জানা গেছে।

২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল কাশ্মীরের পুলওয়ামা। ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ৪২ জন ভারতীয় সেনা-জওয়ান এবং কাশ্মীরি পুলিশের প্রাণ যায়। সেই জঙ্গি হামলার তদন্ত করে সাড়ে ১৩ হাজারেরও বেশি পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি  (NIA)৷ পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদ, আল কায়েদা ও তালিবান-- এই তিন জঙ্গি সংগঠন একসঙ্গে কাজ করেছে বলে চার্জশিটে জানিয়েছিল তদন্তকারী দল। এই হামলার মূল চক্রী হিসেবে নাম ছিল মাসুদ আজহারের। সেই মাসুদকেই এবার খতম করে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করল ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া একাধিক ভিডিও ক্লিপ। 

-

সম্প্রতি, ভারতের আরেক মোস্ট ওয়ান্টেড ‘ডন’ দাউদ ইব্রাহিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তারপরেই আবার মৃত্যুর খবরের তালিকায় উঠে এল আরেক পাকিস্তানি ‘ওয়ান্টেড’ জঙ্গির নাম। ২০০১ সালে ভারতীয় পার্লামেন্ট হামলার সঙ্গে জড়িত মামলায় মাসুদ আজহার ভারতে ওয়ান্টেড। এছাড়াও সে ২০১৫ সালের ৫ জুলাই অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরকে লক্ষ্য করে আক্রমণ সহ বহু হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। উপরন্তু, তার বিরুদ্ধে ভারতীয় কনস্যুলেটে হামলার পরিকল্পনার অভিযোগও আনা হয়েছিল। আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেন এবং তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের সঙ্গে এই মাসুদ আজহার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল বলেও জানা গেছে। 

-

পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধানের গাড়িতে বিস্ফোরণের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এরপরই জানা গেছে যে, ওই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে ভারতের ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষে থাকা মাসুদ আজাহারের। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অঙ্গুলিহেলনে বারবার ভারতকে রক্তাক্ত করেছে এই জঙ্গি। তার মৃত্যু ভারতের জন্য যে স্বস্তিদায়ক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১ জানুয়ারি, সোমবার, মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্স-এ ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। সেখানে একটি গাড়ি বিস্ফোরণে তছনছ হতে দেখা গিয়েছে একটা বিরাট এলাকা। নেটিজেনদের দাবি, ওই গাড়িতে ছিল মাসুদ আজহার। ভাওয়ালপুরের একটি মসজিদ থেকে আজ ভোর ৫টা নাগাদ ফিরছিল জইশ প্রধান। তখনই ঘটে যায় বিস্ফোরণ।