সংক্ষিপ্ত
বালুচ লিবারেশন আর্মির (BLA) ৩৬ ঘণ্টার টানা হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 'অপারেশন হেরোফ' নামক এই অভিযানে বেলুচিস্তানের বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে সবথেকে ভয়ঙ্কর বিদ্রোহী হামলা। বালুচ সশস্ত্র গোষ্ছার টানা ৩৬ ঘণ্টার হামলায় ১৩০ জনেরও বেশি পাক সেনা বাহিনীর সদস্য এই হামলার নিহত হয়েছে। হামলার বেশ কিছু ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
বালুচিস্তানে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জ়ড়িয়ে পড়ে বালুচ লিবারেশন আর্মি বা BLA। চলতি বছর এর আগেও একাধিকবার সংঘর্ষে জড়িয়ে ছিল। কিন্তু এই হামলা ছিল সবথেকে ভয়ঙ্কর। এই হামলায় কমপক্ষে ১৩০ জনেরই বেশি পাকিস্তানি সৈন্য নিহত হয়েছে। অসংখ্য সেনা সদস্য আহত হয়েছে। বালুচ বিপ্লবীরা এই অপারেশনের নাম দিয়েছিল 'অপারেশন হেরোফ' । সংগঠনের পক্ষ থেকে যদিও বলা হয়েছে ২০ ঘণ্টার সংঘর্ষ বড় সফল। বালুচ সংগঠনের পক্ষ থেকেই ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। দেখুন সেই ভিডিওঃ
BLA-এর অপারেশন হেরোফ ২৫ আগস্ট শুরু হয়েছিল। বালুচিস্তানের বিভিন্ন স্থানে হয়েছিল। বালুচ নেতা আকবর বুগতির মৃত্যুর ১৮তম বার্ষিকী। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর হাতে বালুচ নেতার মৃত্যু হয়েছিল। পাকিস্তান প্রশাসনের কথায় বালুচ নেতার মৃত্যর বদলা নিতেই এই অপারেশন। অন্যদিকে সশস্ত্র বিপ্লবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখপাত্র জিয়ান্দ বালুচ একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছে তাদের অপারেশন শেষ হয়েছে।
বিএলএ-র আত্মঘাতী হামলা ইউনিট, মাজিদ ব্রিগেড বেলা এলাকায় একটি সেনা ক্যাম্প লক্ষ্য করে। তারা ২০ ঘন্টার জন্য ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছিল, এই সময় তারা ৬৮ জন পাকিস্তানী সৈন্যকে হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। ফাতাহ স্কোয়াড এবং এসটিওএস: এই ইউনিটগুলি বেলুচিস্তান জুড়ে কেন্দ্রীয় হাইওয়েতে চেকপয়েন্ট স্থাপন করে, ১২ ঘন্টার জন্য রাস্তা অবরোধ বজায় রাখে এবং অতিরিক্ত ৬২ জন সামরিক কর্মীকে হত্যা করে।
বিএলএর মুখপাত্র, জিয়ান্দ বালোচ নিশ্চিত করেছেন যে 130 জনেরও বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে, একাধিক চেকপয়েন্ট এবং একটি শিবির ধ্বংস করা হয়েছে এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের একটি উল্লেখযোগ্য সঞ্চয় জব্দ করা হয়েছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের অপেক্ষায় রয়েছে।