সংক্ষিপ্ত

  • রাশিয়া সফরে বড় কুটনৈতিক সাফল্য পেলেন নরেন্দ্র মোদী
  • নাম না করেই  তোপ দাগলেন পাকিস্তানের প্রতি
  • জানালেন, ভারত ও রাশিয়া কেউই অভ্যন্তরীন বিষয়ে বাইরের দেশের নাক গলাবার বিরুদ্ধে
  • পাশে বসে সমর্থন দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও

 

এর আগে জি৭ শীর্ষ বৈঠকের সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীন বিষয়। আর বুধবার রাশিয়া সফরে গিয়ে, সেই দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাশে বসিয়ে তিনি সাফ জানালেন, 'ভারত ও রাশিয়া দুই দেশই অভ্যন্তরীন বিষয়ে বাইরের দেশের নাক গলাবার বিরুদ্ধে'। অর্থাৎ পাকিস্তানের নাম না করেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে রাশিয়া যে ভারতের পাশে তা বুঝিয়ে দেন নরেন্দ্র মোদী।

এর আগেই ৩৭০ ধারা বাতিল প্রসঙ্গে নয়াদিল্লি পাশে পেয়েছিল মস্কোকে। রাশিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল ভারতের সংবিধান মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। এইবার রাশিয়া সফরে গিয়ে আরো বড় সমর্থন আদায় করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।

আরও পড়ুন - সেপ্টেম্বরে রাশিয়া যাবেন মোদী, তার আগে মস্কো সফরে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল

আরো পড়ুন - কাশ্মীর ইস্যুতে সংবিধান মেনেই হয়েছে সিদ্ধান্ত, মোদী সরকারের পাশে দাঁড়াল রাশিয়া

আরও পড়ুন - জেলের মধ্যেই পুতিন-বিরোধী নেতাকে বিষ, অভিযোগে তোলপাড় রাশিয়া

আরো পড়ুন - আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই রুশ সুন্দরীকে 'তালাক' দিলেন মালয়েশিয়ার প্রাক্তন রাজা

দুই রাষ্ট্রনেতা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন দুই দেশই মাল্টিপোলার বা বহু মেরুর বিশ্ব গড়ার বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'ভারত ও রাশিয়া ব্রিকস, এসসিও-এর মতো একাধিক গ্লোবাল ফোরামে একসঙ্গে কাজ করছে। আগামী দিনে এই বন্ধন আরও দৃঢ় হবে'। প্রধানমন্ত্রীর আরও দাবি , এতে দুই দেশেরই নাগরিকরা লাভবান হবেন।   

রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনও নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।। তিনি জানান, ভারত রাশিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মিত্র দেশ। দুই দেশের সম্পর্ক শুধু কৌশলগত নয়, বরং একে 'বিশেষ সুবিধাযুক্ত' সম্পর্ক বলে বর্ণনা করেছেন পুতিন। দুই দেশের সম্পর্কের এই দিকটি তুলে ধরতে তিনি তামিলনাড়ুর কুন্দনকুলাম পরমাণু বিদ্যুত চুল্লির প্রসঙ্গ তোলেন। এটি ভারত ও রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগে তৈরি।

এদিন দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নয়া দিল্লি ও মস্কোর মধ্যে বানিজ্য, প্রতিরক্ষা, মহাকাশচর্চা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, যোগাযোগ ইত্যাদি বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এই বিষয়গুবলি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে মোট ১৫টি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।