সংক্ষিপ্ত
গিলিডের রেমডেসিভির কার্যকর
করোনা আক্রান্তরা দ্রুত সেরে উঠছেন
দাবি গিলিড সায়েন্সের
রেমডেসিভির- এই ওষুধ ব্যবহার করেই সেরে উঠছেন করোনা আক্রান্তরা। এমনটাই দাবি করল অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতকারক সংস্থা গিলিড সায়েন্স। সংস্থার দাবি করোনা আক্রান্ত যেসব রোগীকে এই ওষুধ প্রথমে দেওয়া হয়েছে তাঁরা আগেই সুস্থ হয়েছেন। পরে যাঁদের দেওয়া হয়েছে তাঁদের সুস্থ হতে অনেকটাই সময় লেগেছে।
অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগ প্রস্তুতকারক সংস্থা গিলিড সায়েন্স দাবি করেছে রেমডেসিভির ওষুধ প্রয়োগ করায় প্রায় ৬২ শতাংশ রোগী তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যেতে পেরেছেন। তুলনামূলক বিচার টেনে তাঁরা জানিয়েছেন ৪৯ শতাংশ রোগী সুস্থ হতে সময় লেগেছে।
ইতিমধ্যেই গিলিড সায়েন্সের শেয়ারের মূল্য বাড়তে শুরু করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েগেছে শেয়ারের মূল্য।
প্রাথমিক পরীক্ষার জন্য করোনাভাইরাসে সংক্রমিত সংকটজনক প্রায় ৩৯৬ জন রোগীর ওপর অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডিসিভির প্রয়োগ করা হয়েছিল। ৫ দিন ও ১০ দিনের জন্য ওষুধ খাওয়ান হয়েছিল। প্রত্যেক রোগীর নিরাপত্তার দিকেও নজর রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সকল রোগীই সুস্থ রয়েছেন বলে জানান হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এই মুহূর্তে কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে তাই গিলিডের রামডেসিভিরের চাহিদাও বেড়েছে বিশ্বজুড়ে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানান হয়েছে জাতীয় অ্যালার্জিসহ একাধিক সংস্থার গবেষণা পত্রের দিকে নজর রেখেছে।
আরও পড়ুনঃ হাইড্রোক্লোক্সিসকুইনিন নিয়ে কি এখনও গোঁসা ট্রাম্পের, মোদীকে আনফলো করল হোয়াইট হাউস ...
আরও পড়ুনঃ ট্রেনের পর স্যাটেলাইট ইমেজে কিমের নৌকা, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতেই কি এই পরিকল্পনা ...
কিন্তু কিছুদিন আগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্টে জানান হয়েছিল, করোনা আক্রান্তদের জন্য এই ওষুধ কার্যকর নয়। চিনও এই পরীক্ষামূলকভাবে এই ওষুধ প্রয়োগ করেছিল। কিন্তে ফল আশাপ্রদ ছিল না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দাবি করেছিল ১৫৮ জনের ওপর পরীক্ষা চালান হয়েছিল। সেখানেও তেমন সুফল পাওয়া যায়নি। কিন্তু তারপরেও এই সংস্থার দাবি উঠেছে প্রশ্ন।