সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সমস্ত সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও চাপ বাড়ানো হবে।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের (Ukraine) পাশে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US)। শুক্রবার সন্ধ্যায় ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky) মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে কথা বলেছেন। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান জেলেনস্কি। তিনি বলেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও জোরদার করা যুদ্ধবিরোধী জোট নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরও বেশি সাহায্য পাবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, বাইডেনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাদের সমর্থনের জন্য তিনি আমেরিকার কাছে কৃতজ্ঞ। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি আরও বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা সমস্ত সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও চাপ বাড়ানো হবে। অন্যদিকে সুইডেন তাদের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সাহায্য করার করছে। সেই কারণে তিনি সুইডেনকেও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সুইডেনকেও তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। 

Scroll to load tweet…

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পরই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞ জারি করেছে আমেরিকা। কিন্তু তারপরেও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুদ্ধে ইতি টানেননি। বরঞ্চ শুক্রবার আরও প্রতাপের সঙ্গেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছেন। সূত্রের খরব রাশিয়ান আক্রান্ত বিধ্বস্ত ইউক্রেন। ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ গৃহহীন। প্রচুর মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বোম্ব সেল্টারে। তবে এদিন কিন্তু পুতিন ইউক্রেনকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। রাশিয়া একটি প্রতিনিধি দলও পাঠিয়েছে বেলারুশে। তবে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে। 

Scroll to load tweet…

অন্যদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় রাশিয়ার যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিসে। নজিরবিহীন ভাবে প্রথা ভেঙে রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে নিজের মনোভাব জানিয়েছে এসেছেন পোপ। ভ্যাটিকানের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন তাঁরা ফ্রান্সিসের আগে এমন কোনও কাজ পূর্ববর্তী কোনও পোপ করেছেন কিনা তাঁদের জানা নেই। ভ্যাটিকানের মুখপাত্র মাত্তেও ব্রুনি এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হলি সি -র একটি প্রেস অফিসও বলেছে পোপ রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়েছিলেন। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন তাঁর উদ্বেগের কথা। সেখানে তিনি প্রায় আধ ঘণ্টা ছিলেন। কথা বলেছেন দূতাবাসের অধিকার্তাদের সঙ্গে। তিনি যুদ্ধের শেষ করার জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন আগামী বুধবার ইউক্রেনের শান্তির জন্য তিনি উপবাস করবেন। একই সঙ্গে তিনি প্রার্থনা করবেন যুদ্ধ আক্রান্তদের জন্য। 

তবে পোপ ফ্রান্সিস প্রকাশ্যে রাশিয়াকে ডেকে যুদ্ধ নিয়ে কথা বলতে এখনও চাইছেন না। একটি অংশ মনে করছে, রাশিয়ান অর্থোডক্স চার্চের বিরোধিতার ভয়ে তিনি কিছুটা বলেও চুপ রয়েছে। 

ইউক্রেনের জন্য প্রার্থনা করবেন, প্রথা ভেঙে রাশিয়ান দূতাবাসে গিয়ে যুদ্ধের নিন্দা পোপের

রাশিয়ার পরিকল্পনা ইউক্রেন দখল নয়, হামলার পর বললেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন

জীবন বাজি নিয়ে ইউক্রেন ছাড়ল ৪৭০ ভারতীয় পড়ুয়া, মুক্তির পথ রোমানিয়া ও হাঙ্গেরি