সংক্ষিপ্ত
স্কুলের মধ্যেই সন্ত্রাসমূলক হয় বলে সন্দেহ ছিল, পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণের ছক কষতেও এই স্কুলকে ব্যবহার করা হয় বলেই সন্দেহ ছিল। এরপর ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। স্কুল ভবনে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে সেনা।
জঙ্গিঘাটি ভেবে গুলি চলল স্কুলে, সেনাবাহিনির গুলিতে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ল মায়ানমারের ছয় পড়ুয়া। মায়ানমারের সাগাইং অঞ্চলের লেট ইয়েট কোন গ্রামের একটি বৌদ্ধ মঠে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। স্কুলের মধ্যেই সন্ত্রাসমূলক হয় বলে সন্দেহ ছিল, পাশাপাশি সেনাবাহিনীর উপর আক্রমণের ছক কষতেও এই স্কুলকে ব্যবহার করা হয় বলেই সন্দেহ ছিল। এরপর ঘটে সেই নৃশংস ঘটনা। স্কুল ভবনে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে সেনা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছয় পড়ুয়ার। আহত প্রায় ১৭। আহতদের তৎক্ষনাৎ নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর মৃতদেহগুলিকে ঘটনাস্থল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ১১ কিলোমিটার দুরের একটি শহরে। এবং সেখানেই ছয় পড়ুয়ার মৃতদেহকে কবর দেয় সেনাবাহিনি।
নেট মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে স্পষ্ট সেনাবাহিনির নৃশংসতা। স্কুলের দেওয়ালে স্পষ্ট রক্তের দাগ। শুধু তাই নয় গ্রেফতার করা হয়েছে ২০ জন ছাত্র ও শিক্ষককেও।
আরও পড়ুন - সিডনিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের লেখা গোপন চিঠি, খোলা যাবে না একটি নির্দিষ্ট সময়কাল পর্যন্ত
ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট। তাদের দাবি গোটা ঘটনাটি পরিকল্পনা মাফিক। যদিও সেনাবাহিনির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আত্মরক্ষার্থেই এই পদক্ষেপ। ‘কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি’ নামক একটি জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যএয়া লুকিয়ে ছিল ওই মঠে। শুধু তাই নয় গ্রামটিকে অস্ত্র লেনদেনের কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার হত। শুক্রবার ওই স্কুল পরিদর্শনে গেলে স্কুলের ভিতর থেকে সেনাবাহিনিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়।
আরও পড়ুন - ব্রিটেনের রানীর অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ায় যোগ ভারতের, লন্ডনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু
আরও পড়ুন - ছোট নির্বাচনে বড় জয় বিজেপির, শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূল দখল থেকে ছিনিয়ে নিস সমবায়