সংক্ষিপ্ত

  • গোপন ক্যামেরাতে হতে থাকল লাইভ স্ট্রিমিং
  • কেউ ঘুণাক্ষরেও কিছু টের পায়নি প্রথমে
  • এক বিমানসেবিকারই চোখে প্রথমে বিষয়টি ধরা পড়ে
  • গোটা ঘটনায় হইচই সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যমে

বিমানের মধ্যে টয়লেটে ক্যামেরা লুকনো। সেই ক্যামেরাতেই একের পর এক ধরা পড়ল বিমানযাত্রী থেকে বিমান কর্মীদের ছবি। যা ককপিটে বসে লাইভ স্ট্রিম করলেন বিমানের পাইলট। এমনই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। 

তবে এই ঘটনা নতুন নয়। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পিটসবার্গ থেকে ফিনিক্স যাওয়ার পথে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনসে এই ঘটনা ঘটে। এক বিমানসেবিকার চোখে বিষয়টি ধরা পড়তেই হুলুস্থূল কাণ্ড। দায়ের হয় অভিযোগও। রবিবার এই বিষয়ে একটি বিবৃতি দিতে গিয়ে সাউথওয়েস্ট-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি এবং এটি নিছকই একটি মজা ছিল। 

আরও পড়ুন-  ব্রীজের তলায় ঢুকে গেল আস্ত একটা বিমান, ভাইরাল ভিডিও

তবে বিমান সেবিকা রেনি স্টেইনেকর অভিযোগে জানিয়েছিলেন, তিনি ককপিটে প্রবেশ করতেই দেখেন পাইলটদের আইপ্যাডে বাথরুমের ভিডিও লাইভ স্ট্রিম হচ্ছে। বিমানের কো-পাইলট স্টেইনেকরকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, নিরাপত্তার খাতিরেই সাউথওয়েস্টের প্রতিটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমানে এই ধরণের ক্যামেরা বসানো হয়েছে।  

আরও জানা যায়, এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও অভিযুক্তদের বাদ দেয়নি কর্তৃপক্ষ। তারা নিজেদের কাজে বহা্ল রয়েছে এখনও। শুধু তাই নয়, এই বিষয়টি  সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত দুই পাইলট এবং সাউথ-ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। তারা সাফ জানিয়েছে, এ ধরনের কিছুই হয়নি। এটি তাদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করার প্রচেষ্টা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  বাকিংহাম প্যালেসে বিষাদের সুর, রাজকীয় জীবন ছাড়তে চান হ্যারি-মেগান

রেনি স্টেইনেকরের দায়ের করা মামলা দায়ের সম্প্রতি অ্যারিজোনা জেলা আদালতে হস্তান্তর করা হয়। এখনও পর্যন্ত শুনানির দিন ধার্য হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। অভিযুক্তরা আদৌ শাস্তি পাবে কিনা এখন সেই প্রশ্নই তুলছে অনেকে।