সংক্ষিপ্ত

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা গ্রাফিক ছবিতে দেখা গেছে পিক আপ ট্রাকের পিছনে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। একটি ক্রেন সেখান থেকে এক এক জনের দেহ তুলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা গ্রাফিক ছবিতে দেখা গেছে পিক আপ ট্রাকের পিছনে রয়েছে রক্তাক্ত দেহ। একটি ক্রেন সেখান থেকে এক এক জনের দেহ তুলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছে। তালিবানরা গোটা গাড়িটাই ঘিরে রেখেছিলেন। নৃশংস ঘটনা দেখতে জড়ো হয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দারাও। অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে হেরাত শহরের একটি ব্যস্ততম স্থান গোল চত্ত্বর সেখানে ক্রেনে করে মৃতদেহ ঝোলান রয়েছে। ৩মৃত ব্যক্তির বুকে লেখা রয়েছে, 'অপহরণকারীদের এভাবেই শাস্তি দিতে হবে'। 

গত মাসেই তালিবানরা কাবুল দখল করেছিল। তারপর থেকেই বেশ কয়েকটি এলাকা ভয়ঙ্কর সাজা দিয়েছিল। কিন্তু এটি সবথেকে ভয়ঙ্কর সাজা বলেও মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তালিবানদের এবাবে রাস্তায় মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়ার অর্থ আগামী দিনে তারা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। ১৯৯৬-২০০১ সালে যা যে অত্যাচার চালাত সেই দিন আবারও ফিরে আসবে বলেও অনেকে মনে করছে। 

আলাপ করুন স্নেহা দুবের সঙ্গে, রাষ্ট্রসংঘে মহিলা আধিকারিক এক হাত নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে

Modi-Biden Meet: মুম্বই হামলার অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান, দাবি যৌথ বিবৃতিতে

Modi In USA: দেশে ফিরছে ১৫৭টি পুরা-সামগ্রী, মার্কিন সফরে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বড় সাফল্য

স্থানীয় তালিবান প্রশাসক নিরাপত্তা বাহিনীকে বলেছেন শরিবার সকালে শহরের এক ব্যবসায়ী ও তার ছেলেকে অপহরণ করেছিল। অপহৃত দুই জনকে খুঁজতে পুলিশ শহরের বাইরে যাওয়ার রাস্তা আটকে দেয়। তালিবারা চেকপোস্টে পুরুষদের তল্লাশি চালায়। সেই সময়ই গুই পক্ষের মধ্যে গুলির যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা এপিকে মুহাজির বলেছেন কয়েক মিনিটের লড়াইয়ের চার অপহরণকারী নিহত হয়। এক তালিবান যোদ্ধা আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তিনি একটি ভিডিও বার্তা বলেছেন আমরা ইসলামি আমিরাত। কোনও জাতির ক্ষতি করা উচিৎ নয়। কাউকে অপহরণ করাও ঠিক নয়। এর আগেও এজাতীয় অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। তালিবানরা একটি ছেলে উদ্ধার করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর অপহরণকারী নিহত ও তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যদিও অন্য একটি ক্ষেত্রে তালিবানরা কোনও কিনারা করতে পারেনি বলেও স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। অপরহণকারীরা ব্ল্যাকমেইল করে টাকা পেয়েছে। 

মুহাজির আরও বলেছেন হেরাতে অনেক তালিবানকেও অপহরণ করা হয়েছে। তাই এজাতীয় ঘটনা খুবই দুঃখজনক বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তবে অপহরণকারীরা যাতে কোনও আফগান নাগরিককে বিরক্ত ও উত্যক্ত না করে তার জন্যও এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।কোনও অপরাধ করলে কড়া শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।