সংক্ষিপ্ত

এশিয়ানেট নিউজ বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেছে। এই বিক্ষোভকারীরা  দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ধ্বংসের জন্য শ্রীলঙ্কা সরকার এবং রাজাপাকসে পরিবারের বিরুদ্ধে ৯৬ দিন ধরে রাস্তায় নেমে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি গোটাবায়াকে আজই পদত্যাগ করতে হবে। 

অর্থনৈতিক বিক্ষোভ, সামাজিক গণ বিদ্রোহ-সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ। শ্রীলঙ্কার গ্রাউন্ড জিরোতে পৌঁছেছে এশিয়ানেট নিউজ। আমাদের ক্যামেরার সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন বিক্ষোভকারীরা। তারা পরিষ্কার জানাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি ভবন যেমন দখল করেছেন তাঁরা, তেমনই তাদের পরবর্তী লক্ষ্য সংসদ দখল করা। বিক্ষোভকারীরা বলছেন তারা রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসের অফিস এবং বাসভবনে ক্যাম্প করে ফেলেছেন। এবার যতক্ষণ না গোটাবায়া পদত্যাগ করছেন, ততক্ষণ তারা নড়বেন না। 

এশিয়ানেট নিউজ বিক্ষোভকারীদের সাথে কথা বলেছে। এই বিক্ষোভকারীরা  দ্বীপরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ধ্বংসের জন্য শ্রীলঙ্কা সরকার এবং রাজাপাকসে পরিবারের বিরুদ্ধে ৯৬ দিন ধরে রাস্তায় নেমে এসেছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি গোটাবায়াকে আজই পদত্যাগ করতে হবে। দ্য গ্যালে ফেস, শ্রীলঙ্কার সামাজিক-সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ভিড় করেছে বিক্ষোভকারীরা, চলছে গোটাবায়ার পদত্যাগের দাবি জোরদার আন্দোলন।  

প্রাইম মিনিস্টার রনিল বিক্রমাসিংঘে বুধবার সকালে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সঙ্গে পশ্চিমাংশে কারফিউ জারির নির্দেশ দেন। কারণ, রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে পালানোর খবর চাউর হতেই বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে থাকে। কলম্বোর রাস্তায় রাস্তায় দলে দলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এমনকী প্রাইম মিনিস্টারের সরকারি আবাসের প্রাচীর টপকেও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। দিন কয়েক আগেই এই একই কায়দায় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্সিয়াল প্য়ালেসে ঢুকে পুরো প্রাসাদ তছনছ করে দিয়েছিল। 

কারফিউ ভেঙে যারা বাইরে বের হবে এবং দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করবে, তাদের গ্রেফতার করারও নির্দেশ দিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টার রনিল বিক্রমাসিংঘে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে প্রাইম মিনিস্টারের বাড়ির চারপাশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের দেখলেই কাঁদানে গ্যাস দিয়ে তাদের পিছু হঠতে বাধ্য করছে সেনাবাহিনী।

অশোক স্তম্ভ বিতর্ক- জাতীয় প্রতীকের অপমান বলে তৃণমূলের আক্রমণ মোদী সরকারকে, মত দিল ডিজাইনাররা

অস্থির শ্রীলঙ্কায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০ জুলাই, এখনও সিংহাসন আঁকড়ে রয়েছেন রাজাপক্ষে

GTA-র বৈঠকের পরেই অন্য মেজাজে মমতা, ফুচকা তৈরি করে বিলি করলেন তিনি- দেখুন ছবিতে

এদিকে, শ্রীলঙ্কার প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রাক্তন এক পরামর্শদাতা জানিয়েছেন, অবিলম্বে প্রাইম মিনিস্টারেও পদত্যাগ করা উচিত। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট যদি পদত্যাগ করেন তাহলে প্রাইম মিনিস্টারকেও সেই জায়গা নিতে হয়। কিন্তু, এখানে দেশবাসী চাইছে যে প্রেসিডেন্ট ও প্রাইম মিনিস্টার পদত্যাগ করুক। যার জেরে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে, সেনাবাহিনীও নেমে পড়েছে। এর জন্য প্রাইম  মিনিস্টারকে এখন পদ ছাড়তে হবে বলে মনে করেন এই প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা। 

প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সেই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। যার জেরে বুধবার সকাল থেকেই কলম্বো-তে প্রাইমমিনিস্টারের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। হাজার হাজার মানুষ প্রাইমমিনিস্টারের আবাসের প্রাচীরের উপরেও উঠে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে যায় যে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে টিয়ারগ্যাস চালাতে হয়। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই খবর আসে যে শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টারের দফতর থেকেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।