সংক্ষিপ্ত

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.৫ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল ৬৩ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে।

শনিবার অর্থাৎ ২ ডিসেম্বর ফিলিপাইন্সের মিদানাওতে ৭.৪ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে। এর কারণে সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির মতে, এই ভূমিকম্পটি হয়েছিল রাত ৮:০৭ মিনিটে। এর কেন্দ্র ছিল মাটির ৫০ কিলোমিটার গভীরে।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ৭.৫ এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল ৬৩ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পের পর আমেরিকান সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা সুনামি সতর্কতা জারি করে।

সুনামি কখন ফিলিপাইন ও জাপানে পৌঁছাবে?

ফিলিপাইন ও জাপানে সুনামির সম্ভাবনা রয়েছে। ফিলিপাইনের সিসমোলজি এজেন্সি PHIVOLCS জানিয়েছে যে সুনামির ঢেউ ফিলিপাইনে স্থানীয় সময় মধ্যরাতের মধ্যে পৌঁছাতে পারে (1600 GMT) এবং কয়েক ঘন্টা ধরে চলতে পারে। আরও জানা গিয়েছে এক মিটার বা ৩ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত সুনামির ঢেউ জাপানের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছাতে পারে একটু পরেই। রাত ১:৩০ মিনিটে এই সুনামির ঢেউ পৌঁছতে পারে।

গত মাসের ভূমিকম্পে আটজন প্রাণ হারিয়েছেন

রয়টার্স জানিয়েছে, গত মাসের শুরুর দিকে ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে আটজন নিহত হয়। ১৭ নভেম্বরের ভূমিকম্পে সারাঙ্গানি, সাউথ কোটাবাটো এবং দাভাও অক্সিডেন্টাল প্রদেশে ১৩ জন নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। একইসঙ্গে ৫০টিরও বেশি বাড়ি ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সাধারণত রিখটার স্কেলে ৭ বা তার বেশি তীব্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। ফিলিপাইনে এই ভূমিকম্পে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কোনো আপডেট আসেনি।

ফিলিপাইন 'রিং অফ ফায়ার'-এ অবস্থিত

ফিলিপাইন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের 'রিং অফ ফায়ার'-এ পড়ে, যেখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সমীক্ষা সংস্থা এই অঞ্চলটিকে বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি সক্রিয় অঞ্চল হিসাবে ব্যাখ্যা করে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।