সংক্ষিপ্ত

রেকর্ড বৃষ্টি দুবাইয়ে। জলের তলায় চলে গেল রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর।

রেকর্ড বৃষ্টি দুবাইয়ে। জলের তলায় চলে গেল রাস্তাঘাট, বিমানবন্দর। রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি। কয়েক ঘন্টায় প্রায় দেড় বছরের মতো বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনই জানা গিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহির জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী।

এই অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র ঝড়ের কারণেই এই বৃষ্টি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ভূমধ্যসাগরে তৈরি হয়েছে এই ঝড়। তারপর অস্বাভাবিকভাবে এই হাওয়া দক্ষিণে বয়ে গিয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ড. কেজে রমেশ জানিয়েছেন, “ভূমধ্যসাগরের মধ্য অক্ষাংশের পশ্চিম দিকে এই ঝড় তৈরি হয়। কিন্তু এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে দক্ষিণ দিকের সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দিকেও বয়ে যায়। সাধারণত পাকিস্তান, কাশ্মীর, হিমাচল এবং উত্তরাখন্ডের উপরিভাগ এমনকী তিব্বতের কাছাকাছি অঞ্চলে এর প্রভাব পড়ে। কিন্তু এবার অস্বাভাবিকভাবে এটা দক্ষিণে চলে গিয়েছে। তাই দুবাইয়ে বৃষ্টিপাতের আগে ওমান এবং পার্শ্ববর্তী সৌদি আরবেও বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল”।

বিশ্বের বহু এলাকাতেই চরম আবহাওয়ার কারণে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে বিপর্যয়কর বন্যা পরিস্থিতি। বায়ুমণ্ডলে প্রচুর পরিমাণে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে, পৃথিবীকে ইতিমধ্যেই 1.1 ℃ উষ্ণ করে তুলেছে।

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, ‘গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে ভারী বৃষ্টিপাতের ঘটনা বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে বৃষ্টির দিনের সংখ্যা কমেছে। কিন্তু বৃষ্টির দিনগুলোয় ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এর কারণ হল, উষ্ণ বায়ুমণ্ডল আর্দ্রতা ধরে রাখে। দীর্ঘসময় শক্তিশালী থাকে মেঘ। যা হঠাৎ বৃষ্টিপাতের দিকে পরিচালিত হয়”।

অসাবধানতাবশত অতিরিক্ত আর্টিফিসিয়াল ক্লাউড সিডিংয়ের কারণে বৃষ্টিপাত বৃদ্ধি পেয়েছে কি না তা নিয়েও বিতর্ক চলছে। এতে বিমানের মাধ্যমে পরিবাহী মেঘে বড় লবণের কণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সামগ্রিক বৃষ্টিপাত বাড়ানো বা আবহাওয়া পরিবর্তনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি এটাই। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্লাউড সিডিং চলে আসছে।