সংক্ষিপ্ত

চিনে HMPV ভাইরাসের প্রকোপে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২০৭ জনের। শিশু ও প্রবীণদের মধ্যে সংক্রমণ বেশি দেখা যাচ্ছে। এই রোগের প্রধান উপসর্গ হলো নিউমোনিয়া এবং ব্রঙ্কাইটিস।

পাঁচ বছর পুরনো স্মৃতি আবাও উষ্কে দিন চিন। নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (HMPV)। এর সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, ইতিমধ্যে শয় শয় মানুষ হাসপাতালে ভর্তি। উপচে পড়ছে হাসপাতালারে বেড। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এমনই সকল ভিডিও। যা বিশ্বজুড়ে নতুন করে আবার প্যানডেমিকের আশঙ্কা তৈরি করেছে। তবে, সেই সকল ভিডিওর সত্যতা যাচাই কর হয়নি।

তবে, চিনের সরকারি হিসেবে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০৭ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, যদি ভাইরাসটি ছড়া তাহলে তা কতটা প্রাণঘাতী হতে পারে তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সর্বত্র। একাধিক সর্বভারতীয় ও আন্তর্জাতিক মাধ্যমে এই নিয়ে খবর এসেছে প্রকাশ্যে।

হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV) মূলত শ্বাসযন্ত্রকে আক্রান্ত করে। চিনের রোগ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন বছরের শীতে এই ভাইরালেসর সংক্রমণ বাড়ছে। শিশু ও প্রবীণরা আক্রান্ত হচ্ছে। এই রোগের উপসর্গ হল গুরুতর পরিস্থিতিতে নিউমোনিয়া ও ব্রঙ্কাইটিসের মতো সমস্যা। হিউম্যান মেটাপনিউমো ভাইরাস (HMPV) ছড়িয়ে পড়ার প্রধান মাধ্যম কাশি ও হাঁচি। সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তা দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাই রোগ থেকে বাঁচতে যেমন পরতে হবে মাস্ক। তেমনই সব সময় হাত পরিষ্কার রাখা দরকার।

তবে, এখনও ভারতে এই রোগের সংক্রমণের খবর মেলেনি। সিকে বিড়লা হাসপাতালের ডাঃ কুলদীপ কুমার গ্রোবার জানান, ভারতে প্যানিক করার মতো পরিস্থিতি এখনও হয়নি। তবে, জনবহুল স্থানে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়ার মতো অভ্যেস ফের মেনে চলতে হবে।

পাঁচ বছর আগে করোনার কারণে বদলে গিয়েছিল পুরো বিশ্বের চিত্র। এই রোগে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। সর্বত্র ছিল ভয়ের পরিবশ। লকডাউন চলেছিল দীর্ঘদিন। ফের সেই চিত্র যাতে ফিরে না আসে, সে জন্য প্রয়োজন আগে থেকে সতর্ক হওয়া। তবে, আপাতত ভারতে সংক্রমণের মতো খবর নেই বলেই জানা গিয়েছে।