- Home
- World News
- International News
- Gen Z বিপ্লবে কাছে অবশেষে নতিস্বীকার নেপাল সরকারের, নিষেধাজ্ঞা উঠল সমাজমাধ্যমের ওপর থেকে
Gen Z বিপ্লবে কাছে অবশেষে নতিস্বীকার নেপাল সরকারের, নিষেধাজ্ঞা উঠল সমাজমাধ্যমের ওপর থেকে
সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধের প্রতিবাদে নেপালে বিক্ষোভে উত্তাল পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন, আহত ২৫০ জন। বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ইস্যুতে জ্বলছে নেপাল। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনে অস্বস্তিতে নেপালের কেপি শর্মা ওলি সরকার। ইতিমধ্যে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২১ জন। আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ২৫০ জন।
এই অবস্থায় নেপালের প্রধানমন্ত্রীর ওলির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বিরেধী দলগুলো। তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি প্রধানমন্ত্রীর। জানা গিয়েছে, বিরোধীদের ক্রমাগত চাপে আন্দোলন থামাতে নেপালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। ইস্তফা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক।
জানা যায়, কেপি শর্মা ওলি সরকরের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ছিল। সম্প্রতি সেদেশে ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাড়ে ক্ষোভ। রাস্তায় নামে তরুণ প্রজন্ম। বিক্ষোভকারীদের হটাতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঠমান্ডুতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন। কারফিউ জারি হয়েছে বীরগঞ্জ, ভৈরহাওয়া, বুটওয়াল, পোখরা, ইটাহারি এবং দামকে-তে। অনির্দিষ্টিকালের জন্য বন্ধ স্কুল। এখন স্থগিত পরীক্ষা।
গত ৪ সেপ্টেম্বর ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয় নেপালে। সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নেপাল প্রশাসনের সঙ্গে সরকারি ভাবে নথিবন্ধ হয়নি। সাতদিনের ডেডলাইন দিলেও তা মেনে চলেনি।
এরপর সোমবার হাজার হাজার প্রতিবাদী রাস্তায় নামে। সংসদ ভবন সব বহু প্রশাসনিক এলাকায় প্রতিবাদ করে। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেলে তারা। এরপর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। জলকামান ছোঁড়ে। এই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে ২১ জনের মৃত্যু হয়। আহত প্রায় ২৫০ জন
অবশেষ এই বিদ্রোহের কাছে নতিস্বীকার করল নেপাল সরকার। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল সমাজমাধ্যমের ওপর থেকে। এরই সঙ্গে নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পৃথ্বী সুব্বা গুরুং ছাত্র ও যুব সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছে, বিক্ষোভ প্রত্যাহারের জন্য।

